সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে লন্ডন থেকে ফিরে উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ি, হলদিবাড়ি এবং দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। নবান্ন সূত্রে সফরের ইঙ্গিত পেয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তিন জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর আগামী ৪ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সফর শুরু হচ্ছে। সে দিন সকালে বাগডোগরা নেমে মুখ্যমন্ত্রীর হলদিবাড়ি পৌঁছনোর কথা। হলদিবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা সেতুর শিলান্যাস হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করতে পারেন বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। হলদিবাড়ির বৈঠক সেরে সড়ক পথে জলপাইগুড়ি পৌঁছে আরেকটি সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। জলপাইগুড়ির সমাজপাড়ার আইএমএর মাঠে পুরসভার তৈরি ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তি উদ্বোধন এবং সরকারি সভা রয়েছে। পরদিন দার্জিলিং পৌঁছনোর কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
এর আগে জুলাই মাসের মাঝামাঝিও হলদিবাড়িতে তিস্তা সেতুর শিলান্যাস করতে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। যদিও নবান্ন থেকে কোনও সবুজ সঙ্গেত না পাওয়ায় প্রস্তাবিত সফরের তিন দিন আগেই যাবতীয় প্রস্তুতি শিথিল করেছিল জেলা প্রশাসন। তবে এবারের সফর নিয়ে নবান্ন থেকে প্রাথমিক সম্মতি জানানোর পরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। চূড়ান্ত সফরসূচি পাওয়ার আগে জেলা প্রশাসনের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভ্রাব্য সফরসূচি পেয়েছি। আগামী ৪ অগস্ট হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী দু’টি সরকারি অনুষ্ঠান করবেন। বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করবেন তিনি।’’
এ দিকে, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে এক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। হলদিবাড়িতে কোথায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক হবে তা স্থির করতে আজ, গৌতমবাবু হলদিবাড়ি যাচ্ছেন। এ দিন সন্ধ্যাবেলা মন্ত্রী গৌতমবাবু সমাজপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পুরসভার উদ্যোগে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি তৈরি হয়েছে এখানে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ৪ অগস্ট সন্ধ্যার আগে জলপাইগুড়ি পৌঁছে, শহরের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শনও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় করলা সেতুর উপর দিয়ে তিস্তা-করলা নদী বাঁধ ছুঁয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে যাবে বলে স্থির করা হয়েছে। সমাজপাড়ার আইএমএ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভা সন্ধ্যে বেলায়। সভা থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ‘মোবাইল ব্যাঙ্কিং ভ্যান’ও অনুষ্ঠান থেকে উদ্বোধন হতে পারে বলে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সৌরভবাবু জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, পরদিন মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং যাওয়ার কথা রয়েছে।