নিজের মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
রদবদল হল রাজ্য মন্ত্রিসভায়। কারও দফতর বদলে গেল, কারও দায়িত্ব কমানো হল, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার দায়িত্ব বাড়ল বা দফতর বিহীন অবস্থার অবসান ঘটল। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বড় বড় নাম এই রদবদলের আওতায় এসেছে।
পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে। সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নও বেশ কিছু দিন ধরে সামলাচ্ছিলেন তিনি। এই দফতরটি এ বার তাঁর হাত থেকে সরিয়ে নিয়ে শান্তিরাম মাহাতকে দেওয়া হল।
পুরুলিয়ার বলরামপুর আসনের বিধায়ক শান্তিরাম মাহাতর হাত থেকে দফতর কেড়ে নিয়ে তাঁকে দফতর বিহীন মন্ত্রী করে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শান্তিরাম আবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী হলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চসায়রের মহিলার যৌন নির্যাতন হয়েছিল, জানাল পুলিশ, হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু ধৃত ট্যাক্সিচালককে
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে যেমন একটি দফতর গেল, তেমন একটি নতুন দফতরও তাঁর হাতে এল। বিদ্যুৎ এবং অচিরাচরিত শক্তি দফতর এত দিন সামলাচ্ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অচিরাচরিত শক্তি দফতরটি শোভনদেবের হাত থেকে নিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে দিয়ে দেওয়া হল।
দফতর বদল হল ব্রাত্য বসুরও। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি দফতরের পাশাপাশি বন দফতরও এত দিন সামলাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এ বার বন দফতর ব্রাত্যর হাত থেকে সরান হল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী হলেন। এত দিন যে দফতর রাজীব সামলাচ্ছিলেন, সেই অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণের দায়িত্ব পেলেন উত্তরবঙ্গের বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। শান্তিরামের মতো বিনয়কৃষ্ণকেও এত দিন দফতর বিহীন করে রেখেছিলেন মমতা।
আরও পড়ুন: ‘মসজিদের বদলে জমি নেব না’, সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনা চাইছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড