West Bengal News

রাজনীতি? না অন্য বাস্তবতা? কী কারণে কেন্দ্রের নয়া ট্র্যাফিক আইনে আপত্তি মমতার সরকারের

সংসদে ওই বিল পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর যুক্তি ছিল, প্রতি বছর পথদুর্ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রাণ হারান অনেক মানুষ। দুর্ঘটনার একটা  বড় কারণ, ট্রাফিক আইন না-মানা।

Advertisement

সিজার মণ্ডল ও ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৫২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

দেশে গাড়ির বাজারের গনগনে আঁচ আচমকাই ভিজে নেতিয়ে পড়েছে। গাড়ি যাঁরা বানান, তাঁদের মালিক-কর্মচারী সব পক্ষেই একটা গেল গেল রব। আর গাড়ি যাঁরা চড়েন, এই মাসের এক তারিখ থেকে তাঁদের দুরু দুরু বুক— ওই বুঝি এল...। রাস্তায় ভুল করলে বা জেনেশুনে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে ফাইন তো দিতে হতই। কিন্তু সেই ফাইন এক ঝটকায় বেড়েছে মাইন ফাটার মতো বিস্ফোরণে। সেই শব্দ শোনা গেলেও এ রাজ্যে কিন্তু অন্তত এখনও পর্যন্ত তার ঝটকা লাগেনি।

Advertisement

সংশোধিত মোটর ভেহিকল আইন গোটা দেশে কার্যকর হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু, ওই আইন এ রাজ্যে চালু করতে নারাজ মমতার সরকার। সংশোধিত ওই আইনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে রাজ্যের নানা আপত্তি রয়েছে। ওই আইন প্রয়োগ করলে নানা ক্ষেত্রে যে জটিলতা দেখা দেবে, সে কথাও উঠে আসছে রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন পদাধিকারীর কথায়। আইন সম্পর্কে নিজেদের অসন্তোষের কথা গোপন করছেন না শাসক দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও।

সংসদে ওই বিল পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর যুক্তি ছিল, প্রতি বছর পথদুর্ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রাণ হারান অনেক মানুষ। দুর্ঘটনার একটা বড় কারণ, ট্রাফিক আইন না-মানা। সে কারণেই যান চলাচলে আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে আইনে বদল এনে সেটা আরও কড়া করা প্রয়োজন— জানিয়েছিলেন নিতিন। আইন সংশোধিত হওয়ার পর দেখা গেল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কারাবাসের নিদানও দেওয়া হয়েছে সংশোধিত আইনে।

Advertisement

কিন্তু কী এমন কারণ, যার জন্য সংশোধিত ওই আইন চালু করতে এতটা আপত্তি রাজ্যের?

অনেকেই এর পিছনে একটা রাজনৈতিক কারণ দেখছেন। কারণ, সংসদে এর আগে বিভিন্ন বিল পাশের সময় তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংখ্যাধিক্যের কারণে বিজেপি সে সব বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। সে কারণেই এই বিরোধিতা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় মনে করছেন, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার জন্যই রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমবঙ্গওই আইন কার্যকরকরছে না। ফলে বর্তমান জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে ফের একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।

বিরোধিতার পিছনে যে রাজনীতি এবং কেন্দ্র-রাজ্য অধিকারের প্রশ্ন রয়েছে, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়। রাজ্যসভায় ওই বিল যখন পেশ হয়, তার আগে ডেরেক জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূল ওই বিলের বিরোধিতা করবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ‘‘২০১৬ সালে কেন্দ্র যখন প্রথমবার এই বিল পেশ করে, তখনও তৃণমূল তার বিরোধিতা করেছিল। বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল সেই সময়। কিন্তু সেই পরিবর্তন না করেই ফের বিল পেশ করাটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের অধিকার খর্ব করছে।” একই কথা শোনা গিয়েছিল এ বার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মুখেও। তিনি জানিয়েছিলেন, এই বিল আসলে রাজ্যের ক্ষমতাকে খাটো করতেই আনা হয়েছে। ফলে বিল পাশ হয়ে যখন আইন হল, তখন তা এ রাজ্যে কার্যকরের ক্ষেত্রে অনীহা যে থাকবেই সেটা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল।

আরও পড়ুন: তিহাড় জেলেই যেতে হচ্ছে পি চিদম্বরমকে, আইএনএক্স মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

আইন যখন গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কার্যকর হয়েছে, তখন কেন এখানে হল না?

ইঙ্গিতটা যদিও রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী আইন চালু হওয়ার দিন পাঁচেক আগেই বিধানসভায় স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখনই এ রাজ্যে এই আইন কার্যকর হচ্ছে না। কারণ? ওই আইনে নির্দেশিত জরিমানার অঙ্ককে ‘খুব বেশি’ বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। আইনের একটি অংশে বলা হয়েছে, প্রস্তুতকারক সংস্থাই গাড়ির ফিট সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারবে। সেটারও বিরোধিতা করেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে ওই আইন সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানার অঙ্ক এবং আইনের বেশ কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রককে। ফলে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যেওই আইন কার্যকর হওয়ার পাঁচ দিন পরেও পুরনো আইন অনুসারেই ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশ।শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে নারাজ মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাবও। এমনকি নরেন্দ্র মোদীর গুজরাতও আইনে বর্ণিত জরিমানার অঙ্ক পুনর্বিবেচনার পক্ষপাতী।

আইন যাঁরা প্রয়োগ করবেন, এ রাজ্যের সেই পুলিশ এবং পরিবহণদফতরের কর্মীরা যদিওএর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত। কী রকম?

রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা, যিনি রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের শীর্ষ পদে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, তিনি বলছেন,‘‘যে কোনও আইন প্রনয়ণ করা হয় বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে। সে দিক থেকে দেখলে সংশোধিত আইনে থাকা জরিমানার পরিমাণ অনেকটাই অবাস্তব। এ রাজ্যের আর্থসামাজিকপরিস্থিতির গড় হিসেব দেখলে বোঝা যাবে, এত মোটা অঙ্কের জরিমানাসাধারণ মানুষের উপর একটা বড়সড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।” তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সংশোধিত আইনে সিট বেল্ট না পড়লে জরিমানা এক হাজার টাকা! অথবা মোটরবাইকে তিনজন চড়লে জরিমানা দু’হাজার টাকা! এত বড় অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার মতো সামর্থ কী আছে এ রাজ্যের মানুষের?”

আরও পডু়ন: ‘কোনও দিন ভাবিনি স্যর আমার সঙ্গে এ রকম...’

যদিও কলকাতা পুলিশের ওই কর্তার বক্তব্য মানতে নারাজ অন্য এক পুলিশ কর্তা। তিনি বলছেন,‘‘আমাদের শহরেই দেখুন না, যাঁরা দু’লাখেরও বেশি দামের বাইক চালাচ্ছে, তাঁরা জরিমানার বিষয়টি কি আদৌ গ্রাহ্য করেন?’’ সম্প্রতি শেকসপিয়র সরণির জাগুয়ার দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলছেন, ‘‘যাঁরা কোটি টাকার গাড়ি চড়েন, তাঁদের মোটা অঙ্কের জরিমানা না করলে ঠেকানো সম্ভব নয়।তাই এই পরিস্থিতিতে এ রকম মোটা অঙ্কের জরিমানা এবং কঠোর আইনের প্রয়োজন আছে।”

ঠিক এখানেই পরিবহণ দফতরের এক কর্মী বিরোধিতা করছেন। তাঁর মতে, ‘‘এ রাজ্যে ক’জন দু’লাখ টাকার বাইক চড়েন? জাগুয়ার-অডির মতো গাড়ি চালান?” পূর্ব রেলের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘শহরতলিতে বেড়ে যাওয়া জনসংখ্যার অনুপাতে রেলের যাত্রী সংখ্যা কিন্তু বাড়েনি। রেল নিজেদের করা সমীক্ষা থেকে জানতে পেরেছে, একটা বড় অংশের রেলযাত্রী ইদানীং বাইকে যাতায়াত করছেন।” তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশে এখনও গণপরিবহণ পশ্চিমী দেশের মতো না হওয়ায়, সময় মতো এবং একটু আরামে যাতায়াত করতে শহরতলি এবং মফস্সলে বড় ভরসা মোটরবাইক।’’ তিনি সংশোধিত আইনের উল্লেখ করে বলেন,‘‘অনেক ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্কের চেয়ে পুরনো বাইকের দাম কম।”

কথাটা যে মিথ্যা নয় তার প্রমাণ মেলে গত সোমবারের একটি ঘটনায়। গুরুগ্রামে এক স্কুটারচালককে নয়া আইনে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত দীনেশ মদন জরিমানার অঙ্ক শুনে পুলিশকে জানান যে, তিনি ওই স্কুটার আদালতে জরিমানা দিয়ে ছাড়াতে যাবেন না। কারণ স্কুটারের দাম ১৫ হাজার টাকা!পরিবহণ দফতরের ওই কর্তার আশঙ্কা, ‘‘এত মোটা অঙ্কের জরিমানা পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতি বাড়াতে পারে। পাশাপাশি মানুষ তো ফাইনের ভয়ে গাড়ি আর রাস্তায় বার করাই বন্ধ করে বাড়িতে রেখে দেবে।’’

তবে জরিমানার অঙ্ক নয়, রাজ্য সরকারের এই বিরোধিতার পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বললেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রের কোনও আইন নিয়ে রাজ্যের আপত্তি কখনও কখনও থাকতেই পারে। কিন্তু আপত্তিটা জনস্বার্থে, নাকি রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক, সেটাও কিন্তু ভাল ভাবে বুঝে নেওয়া দরকার।’’ বাবুল আরও বলছেন,‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও নীতি বা পদক্ষেপ বা আইনের বিরোধিতা করা এখন তৃণমূলের ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। কেন্দ্র যা করে, তারই বিরোধিতা করতে হবে। নতুন পরিবহণ আইন কার্যকর করার প্রশ্নেও যে অসহযোগিতাই আসবে, এ নিয়ে আশ্চর্য হচ্ছি না।’’তাঁর মতে, ‘‘আপত্তি কোথাও থাকতেই পারে। তা নিয়ে আলোচনার দরজা সব সময় খোলা। আলাপ-আলোচনাতে যে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু সমাধানটা লক্ষ্য, নাকি সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করাটাই লক্ষ্য, সেটাই বড় প্রশ্ন।”

যদিও তৃণমূলের এক নেতার যুক্তি, ‘‘বেশি জরিমানা মানে রাজ্যের ভাঁড়ারে বেশি অর্থ, সেটা ঠিকই। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুখ্যমন্ত্রী বারে বারে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপারদের ট্রাফিক কর্মীদের নিয়ে অভিযোগ করছেন। বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ক্ষোভ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশ রীতিমতো জুলুম চালাচ্ছে। এর পর ওই নয়া আইন চালু হলে, জরিমানার অঙ্ক বাড়লে, সেই ক্ষোভ প্রশমনের বদলে আরও বাড়বে।’’ তাঁর মতে, ‘‘স্ববিরোধিতার মুখে পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

শাসক দলের সেই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কথা প্রতিফলিত হয়েছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্যেও। তিনি বলেন,‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে আইন করেছে, তার বিরোধিতা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই নতুন আইনে উপভোক্তাদের উপরে বিপুল বোঝা চাপানো হয়েছে। সরকার বেহিসেবি খরচ করে যাবে আর তার পরে কোষাগার ভরতে জনগণের উপরে বোঝা চাপাবে, এই পদ্ধতি চলতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু শুধুমাত্র সেই কারণে এই রাজ্যের সরকার কেন্দ্রের ওই আইনের বিরোধিতা করছে, এমন নয়। এ ক্ষেত্রে আরও একটা কারণ রয়েছে। এ রাজ্যের সরকার তো নিজেই ইতিমধ্যে উপভোক্তাদের উপরে বোঝা চাপিয়ে রেখেছে। বিপুল পরিমাণে কর বাড়িয়েছে। এখন আবার নতুন করে বোঝা চাপাতে গেলে তো মুশকিল। তাই বিরোধিতা করছে।”

তবে রাজ্য বিরোধিতা করলেও ওই আইন যে কার্যকর করতে তারা বাধ্য, সে কথাই বলছেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ। তিনি বলছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির সই করা ওই আইন রাজ্য মানতে বাধ্য। তবে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে তারা। কিন্তু, কখনই তা মূল আইনের কাঠামোর বিরুদ্ধে না গিয়ে।’’

একই মত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনিও বলেন,‘‘রাজ্য সংশোধিত আইনের কিছু পরিবর্তন করতে পারে। তবে সেই পরিবর্তনও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষ।”

রাজ্য কি তবে মূল আইনে ফের কিছু পরিবর্তন আনবে? সে কারণেই কি আপাতত কার্যকর করা হচ্ছে না ওই আইন? আইন খতিয়ে দেখে অ্যাডভোকেট জেনারেল কবে সরকারকে জানাবেন? এ সব প্রশ্নের জবাব যদিও সরকারের তরফে স্পষ্ট ভাবে মেলেনি। তবে বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে,জনগণকে বাড়তি আর্থিক চাপের হাত থেকে রেহাই দেওয়াটা মোটেও উদ্দেশ্য নয় এই সরকারের। বরং ভোট রাজনীতির স্বার্থেই ‘জনদরদি’ হয়ে উঠতে চাইছে এই সরকার।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement