বণিক সভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকে অফিসে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। মমতা বললেন, ‘‘সকাল ৮টা থেকে ১২টা এবং ১২টা থেকে ৫টা এই দুই শিফটে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারে।’’ এর আগে তথ্য-প্রযুক্তির কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
হুগলিতে চটশিল্প কর্মীদের টিকাকরণে জোর দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। চাঁপদানি, বাঁশবেড়িয়া-সহ জুটমিলগুলিকে শ্রমিকদের টিকা দিতে বললেন মমতা।
শ্রমিকদের শাপাশি পরিচারিকাদেরও টিকাকরণের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
১২ টা ৩টে পর্যন্ত খুচরো বিক্রির দোকান খোলার ব্যবস্থা ছিল। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত করার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে শপিং মল খোলার ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য, জানালেন মমতা। ‘‘১৫ জুনের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’’, বললেন মমতা।
রেশন দোকানের কর্মীদের মতো রাইস মিল এবং আটা মিলের কর্মীদেরও বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে, জানিয়ে দিলেন মমতা।
পোশাক আশাক এবং খুচরো বিক্রয়ের দোকান সন্ধ্যায় খোলার অনুরোধ করেছিল বণিক সংগঠনের সদস্যরা। মমতা জানালেন, সব দোকান সন্ধ্যায় খোলা রাখা যাবে না। সংক্রমণের কথাও মাথায় রাখতে হবে।
ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর জলে ডুবে গিয়েছে ইটভাটাগুলি। ব্রিক অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সরকারের সাহায্য চাওয়ায় মমতা বললেন, সরকার সাধ্যমতো সাহায্য করবে।
মমতার পরামর্শ, এক একটি বাণিজ্যিক সংস্থা যদি এক একটি গ্রামকে অধিগ্রহণ করে সেখানে ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর চেষ্টা করে, ত্রাণের কাজ করে তবে সেটা খুবই ভাল উদ্যোগ। যদি কেউ এই কাজ করতে চায় আমি এ ব্যাপারে উৎসাহিত করব।’’
বণিক সংগঠনের সদস্য সংস্থাগুলির মধ্যে কীভাবে টিকা সরবরাহ করা হবে তা দেখার জন্য একটি সাধারণ ব্যবস্থাপক ক্ষেত্র বা কমন পুল তৈরি করার কথা বললেন মমতা। মোট টিকা কেনার পর ওই টিকা এই ক্ষেত্রকে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই টিকার সুষ্ঠ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
মমতা বললেন, ‘‘স্বাস্থ্য বিভাগ টিকাকরণে সহযোগিতা করবে। তবে রাজ্যের বিপর্যয় তহবিলে টাকা দিলে আমরা সেই টাকা দিয়ে টিকা কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।’’
রেস্তরাঁ ব্যবসা করোনা পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ছে বলে জানিয়েছিল বণিকসভা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘মিষ্টির দোকান তো আমরা ১০টা থেকে ৫টা খোলা থাকবে বলেছি। রেস্তরাঁও খোলা থাক। বিকেল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত রেস্তরাঁ খোলা রাখতে পারেন। তবে কর্মীদের টিকা দিতে হবে। সমস্তরকম নিরাপত্তাবিধি বজায় রাখতে হবে।’’
হোটেল রেস্তরাঁর কাজ অনলাইনে বেশি করে চালান, পরামর্শ দিলেন মমতা। কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করে হোটেল রেস্তরাঁ চালু রাখুন।
রাজ্যের হাটে বাজারে নিয়মিত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করতে বললেন মমতা। বললেন, ‘‘বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।’’
মমতা বললেন, ‘‘আমরা কিন্তু ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেছি। অন্য রাজ্যের মতো লক ডাউন করিনি। কার্ফু জারি করিনি। বাজার দোকান পুরোপুরি বন্ধ করিনি।’’
ব্যবসায়িক সংগঠন গুলিকে তাদের কর্মীদের টিকা দিতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে বললেন, ‘‘আপনারা নিজেদের কর্মীদের টিকা দিন। ওই টিকা আপনাদেরই কিনতে হবে। আপনারা ধরে নিন, ওই টিকা আপনারা রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন।’’
মমতা বললেন, ‘‘দেশের বা রাজ্যের বিপর্যয়ে বণিকসভার বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনাদের সেই ভূমিকা পালন করার অনুরোধ করব।’’