মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব চিত্র
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার আগে‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে ফুঁসছে রাজ্যের শাসকদল। বিধানসভায় এ নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনা হবে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
সোমবার বিধানসভায় নিজের ঘরে বসেইশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নেতাজির জন্মদিন পালনে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের মন্ত্রী তাপস রায় এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষদীয় দলে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার কথা বলেছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে ওই প্রস্তাব বিধানসভায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
আগামী ২৭-২৮ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দু’দিনের অধিবেশন বসছে। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন এই নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে বলে সূত্র মারফত্ জানা গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি আশা করব, সেদিন যেভাবে নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলও আমাদের এই প্রস্তাব সমর্থন করবে।’’
তবে প্রস্তাব না দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ বামফ্রন্ট। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ প্রসঙ্গে অফিশিয়ালি কিছুই বলা হয়নি। যদি আনে প্রস্তাব দেখব, দেখে যদি তাতে যোগ বিয়োগ কিছু করার থাকে করব।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রস্তাবের সঙ্গে অবশ্যই লিখতে হবে সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠান করার প্রক্রিয়া এই জমানায় শুরু হয়েছে, তা-ও বন্ধ করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষির আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতেই মূলত এই অধিবেশন বসছে। এদিন অধিবেশনের সূচি ঠিক করতে সর্বদলীয় বৈঠক হয় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। সেখানেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরকার ও বিরোধী পক্ষের প্রস্তাব জমা পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় ১৬৯ ধারায় আলোচনা হবে সরকারি প্রস্তাব নিয়েই। কিন্তু সরকারপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘‘আমরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে বলে আসছি কিছু করা হয়নি। এখন বিপাকে পড়ে লোক দেখানো অধিবেশন হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যে কৃষক বিরোধী আইন করেছন তা বাতিল করছে না। বিজেপিকে এরা চটাতে চায় না।’’ তবে সরকারের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে বিজেপি। জানিয়েছেন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা।