River Erosion

River Erosion: গঙ্গাভাঙন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতার

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজ্য সরকারকেই সেই কাজে উদ্যোগী হতে হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাজ্যে গঙ্গাভাঙন এবং তার জেরে জমি, বাড়ির যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সেই বিষয়টি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় যে হারে গঙ্গার-পদ্মার ভাঙন হচ্ছে চিঠিতে সেই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গত দু’দশক ধরে এই সমস্যা চলছে। ফরাক্কা ব্যারেজের নির্মাণের ফলে গঙ্গার গতিপথ পরিবর্তন এবং নদীবক্ষে পলি জমে যাওয়ার কারণে এই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ক্ষয় রোধ এবং নদীতীর প্রতিরক্ষার জন্য ২০০৫-এ কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট অথরিটি (এফবিপিএ)-র কাজের তত্ত্বাবধানের সীমানা বাড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায়। ২০১৭-র ২৫ মে এ বিষয়ে জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে এই ভাঙনের কবলে পড়ে ২৮০০ হেক্টর উর্বর জমি গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফবিপিএ-কে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে বার বার জানানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু ২০১৭-র জুলাইয়ে জলসম্পদ মন্ত্রক একক ভাবে এফবিপিএ-র তত্ত্বাবধানের সীমানা কমিয়ে দেয় বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এই একক সিদ্ধান্তের বিষয়েও ওই বছরের ১০ অগস্ট কেন্দ্রকে চিঠি লিখেও কোনও উত্তর পাননি বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

Advertisement

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজ্য সরকারকেই সেই কাজে উদ্যোগী হতে হয়েছে। গত চার বছরে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার ৩১টি এলাকাকে বিপজ্জনক চিহ্নিত করে ১৬৮.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীভাঙন রোধের কাজ করেছে রাজ্য।

তবে এই ভাঙন রোধে যে বিপুল অর্থের দরকার, তা জোগানো রাজ্য সরকারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জলশক্তি মন্ত্রককে এ বিষয়ে ২০২১-এর ৩১ অগস্ট তারিখে জানানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

তাই ফের গঙ্গাভাঙন রোধের কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেদন জানিয়েছেন, জলসম্পদ মন্ত্রক যাতে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement