জনসভায় জলসঙ্কট নিয়ে বলুন: মুখ্যমন্ত্রী

শুক্রবার বিধানসভায় সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, এ রাজ্যে কিছু জায়গায় দেখা যায় রাস্তার কলে জল পড়ে যাচ্ছে। সেই অপচয় বন্ধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০৩:১৫
Share:

জলের সঙ্কট যে হারে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

দেশ জুড়ে জলের সঙ্কট যে হারে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব দলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাঁর আবেদন, ঘরোয়া মিটিং, জনসভা, বৈঠকে রাজনীতির পাশাপাশি জল অপচয় বন্ধ করা এবং ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প নিয়েও দু’চার কথা বলুন। তাঁর কথায়, ‘‘চেন্নাইয়ে জল পাওয়া যাচ্ছে না। জলের জন্য হস্টেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এখনই জল অপচয় বন্ধ করার কাজে সকলকেই সচেতন হতে হবে। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। আসুন, আমরা সকলে সভায়, বৈঠকে, মিটিংয়ে বক্তৃতার মধ্যে এক মিনিট করে জনগণকে আপিল করি। রাজ্যবাসীদের বলি জল অপচয় করবেন না।’’

Advertisement

শুক্রবার বিধানসভায় সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, এ রাজ্যে কিছু জায়গায় দেখা যায় রাস্তার কলে জল পড়ে যাচ্ছে। সেই অপচয় বন্ধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চান তিনি। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি জল পড়েই যাচ্ছে। তাতে কল নেই। আসলে ওই সব কল লাগানো হলেও চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকেই সজাগ থাকতে হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি ব্লকে আমরা সমীক্ষা করেছিলাম। কয়েকটি ব্লকে সমস্যা দেখা গিয়েছে। সেখানে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভূগর্ভস্থ জল কমে যাচ্ছে, সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য জনপ্রতিনিধিরাও উদ্যোগ নিন।’’

Advertisement

তৃণমূলের বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়ার প্রশ্ন ছিল ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের অধীনে কত পুকুর, জলাশয় খনন করা হয়েছে? বিভাগীয় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, প্রায় ২ লক্ষ ৭৯ হাজার পুকুর ওই প্রকল্পের জন্য খনন করা হয়েছে। বিধায়ক সমর হাজরা জানতে চান, নদীগুলো মজে যাচ্ছে, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার? বিভাগীয় মন্ত্রী জবাব দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে স্পিকারকে জানান তিনি কিছু বলবেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক নদী মজে যাচ্ছে ঠিকই। তবে সরকার লোয়ার দামোদর ড্রেজিং প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে। তাতে বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং বীরভূমে নদীর নাব্যতা বাড়ানোর কাজ হচ্ছে। তাতে ওই সব জেলায় সেচ ব্যবস্থা উন্নত হবে। তাঁর অভিযোগ, ঘাটাল মাস্টার পরিকল্পনার জন্য কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হলেও তারা করছে না। এ দিন বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়েও জনগণকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement