Kanyashree

Kanyashree Day: কন্যাশ্রী দিবসে কন্যাশ্রীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মূলত রাজ্যে বাল্যবিবাহ রোখার জন্য এই প্রকল্প চালু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২২ ১৪:৪৫
Share:

‘কন্যাশ্রী’-কে আদর মুখ্যমন্ত্রীর। (ফাইল চিত্র)

‘কন্যাশ্রী দিবস’-এ কন্যাশ্রীদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে একটি টুইট করে তিনি লেখেন, “কন্যাশ্রী দিবসে আমি এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি মেয়েকে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখার জন্য এবং নির্ভয়ে সেই স্বপ্নের পিছনে দৌড়নোর জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।” টুইটে তিনি কন্যাশ্রীদের উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের জন্যও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে মূলত বাল্যবিবাহ রোখার জন্য এবং অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির মেয়েদের লেখাপড়ায় সহায়তা করার জন্য এই প্রকল্প চালু করে। তেরো থেকে ষোলো বছর বয়সি মেয়েরা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলে বছরে এক হাজার টাকা এবং ষোলো বছর বয়স হলে, অর্থাৎ দশম শ্রেণিতে উঠলে পঁচিশ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত মেয়েদেরও পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রকল্পটির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরার জন্য প্রতি বছরই ১৪ অগস্ট দিনটিকে ‘কন্যাশ্রী দিবস’ হিসাবে পালন করে থাকে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে স্থানীয় অঞ্চলে শোভাযাত্রা করা হয়। গত দু’বছরে কোভিড অতিমারির জন্য অবশ্য বড় কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। এই বছর কন্যাশ্রী দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে নজরুল মঞ্চে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই কিছু মেয়ের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিতে পারেন তিনি। রবিবারই নিজের ফেসবুক পেজে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষের বেশি কন্যাসন্তান কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছে।”

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এই প্রকল্প একান্তই তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। এমনকি প্রকল্পের নামটিও তাঁরই দেওয়া। এই প্রকল্প নিয়ে যে তাঁর আলাদা একটা আবেগ আছে, তা-ও বহু বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিচারে ৬২টি দেশের ৫৫২টি সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসাবে নির্বাচিত হয় কন্যাশ্রী প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন।

এর পর শাসকদলের বিভিন্ন নির্বাচনী স্লোগান, বক্তব্যে বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা। বাংলার শাসকদলের নেতারা কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেছেন, এই প্রকল্পের সৌজন্যে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অর্থের অভাবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ায় নাবালিকা বিবাহতেও লাগাম পরানো গিয়েছে বলে দাবি করেছে শাসক শিবির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement