সংস্কারের পরে। শনিবার ছবিটি তুলেছেন অভিজিৎ সিংহ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে নতুন ভাবে সেজে ওঠা রবীন্দ্রভবন ফের সবার জন্য খুলে যাচ্ছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ওই হল খুলে দেবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাঁকুড়া শহরে অনুষ্ঠান করার মতো ভাল সভাঘর বলতে এতদিন মানুষ রবীন্দ্রভবনকেই বুঝতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে হলের হাল খারাপ হয়ে পড়েছিল। শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজনের দাবি অনুযায়ী, বছর দুয়েক আগে ওই হলের সংস্কারে হাত দেয় প্রশাসন। সে জন্য এতদিন হলটি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার দুপুরে বারিকুল থানার বালিমাঠে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সভাস্থল থেকেই তাঁর নতুন রূপে সেজে ওঠা বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনটি পুনরায় সবার জন্য চালু করার কথা।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ, সাংসদের এলাকা উন্নয়নের তহবিল-সহ বিভিন্ন দফতর থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় করে ওই হল সংস্কার করেছে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকা হলটি শীঘ্রই চালু হবে শুনে স্বস্তি পেয়েছেন বাঁকুড়ার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজনও। শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দরিপা বলেন, “হলটির সংস্কার দরকার ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে হলটি বন্ধ থাকার জন্য নানা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে আমাদের। নতুন রূপে হলটিকে দেখতে অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।” বাঁকুড়া শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমাজের সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “হলটি নতুন করে সংস্কার হওয়ায় আশা করছি পুরনো সমস্যাগুলি মিটবে।”
পুজোর পর গত অক্টোবর ও নভেম্বরে মোট দু’দফায় মুখ্যন্ত্রীর জেলা সফর স্থির হয়েছিল। যাবতীয় প্রস্তুতি পর্বও প্রায় সেরে ফেলেছিল জেলা প্রশাসন। অথচ দু’বারই শেষ মুহূর্তে নানা সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাঁর সফর বাতিল হয়। আগামী সোমবার থেকে জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক মহলের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সভা সেরে সে দিন মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটমণিপুরে থাকার কথা। পরেরদিন মঙ্গলবার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা। বুধবার মুকুটমণিপুর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কোলাঘাট রওনা দেওয়ার কথা।
মুখ্যমন্ত্রী চপারে আসবেন ও চপারেই তাঁর কোলাঘাট রওনা দেওয়ার কথা। সে জন্য দু’টি অস্থায়ী হেলিপ্যাড বানানো হয়েছে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ও মুকুটমণিপুরের যেখানে তাঁর থাকার কথা তা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা, জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী।
অরূপবাবু বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথমবার জেলায় আসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় কর্মী সকলেই।”