ফাইল চিত্র।
‘কন্যাশ্রী’র কৃতিত্ব বিশ্ব মাতিয়েছে। এ বার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ বা ‘সামলে চালাও প্রাণ বাঁচাও’ কর্মসূচির ‘সাফল্য’-কে এ বার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরে সারা রাজ্যেই পথ-দুর্ঘটনা এবং তাতে প্রাণহানি কমেছে বলে প্রশাসনের দাবি। নবান্নের বক্তব্য, কন্যাশ্রীর সাফল্য বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। তাই পথ-নিরাপত্তার এই কর্মসূচির সৌরভ বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংস্কারের পরে ভবানী ভবনের উদ্বোধন করে বুধবার রাজ্য পুলিশকর্তাদের এ কথা বলেন মমতা।
গত বছর জুলাইয়ে চালু হয় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’৷ রাজ্য পুলিশের দাবি, নতুন কর্মসূচির ব্যাপক প্রচারের ফলে গত বছরের শেষ ছ’মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে পথ-দুর্ঘটনা কমেছে প্রায় ১৫%। প্রাণহানিও হ্রাস পেয়েছে। একই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ।
সাফল্য এল কী ভাবে?
পুলিশের দাবি, ওই কর্মসূচি নেওয়ার পরে হেলমেটের ব্যবহার বেড়েছে। তীক্ষ্ণ নজরদারি থাকায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বা বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমেছে। জাতীয় ও রাজ্য সড়কে নজর রাখতে সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার-সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ায় দুর্ঘটনা কমেছে। কর্মসূচি সফল করতে তৈরি কমিটিও সদা সতর্ক রয়েছে।
রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে এ দিন ডিজি-র ঘরে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে তিনি জোর প্রচারের নির্দেশ দেন, যাতে কন্যাশ্রীর মতো এই কর্মসূচির কথাও দেশ এবং সারা বিশ্ব জানতে পারে। সারা রাজ্যেই যান-শাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজার জন্য পুলিশকর্তাদের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এ বার রাজ্যের সব রাস্তাতেই ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যবস্থা হোক। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চান, কলকাতার মতো রাজ্যের সব জায়গাতেই ট্র্যাফিক পুলিশ হয়ে উঠুক প্রশাসনের মুখ,’’ বলেন এক পুলিশকর্তা।