মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগে চোপড়ায় বিএসএফের খোঁড়া নর্দমায় মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল চার শিশুর। সেই ঘটনা নিয়ে বুধবার বিধানসভায় কেন্দ্র তথা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, বিএসএফকে শাস্তি দিতে হবে।
বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের উপর জবাবি বক্তৃতা দেন মমতা। সেখানে কথা প্রসঙ্গে চোপড়ার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘এখানে তো ৩৩৪টি কেন্দ্রীয় টিম এসেছে। চোপড়ায় কেন যাচ্ছে না? শিশুদের কি কোনও দাম নেই?’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ওই বিএসএফের শাস্তি চাই। ওরা গেরুয়া রঙের প্যাকেটে মানুষকে জিনিস দিচ্ছে। পুরোপুরি বিজেপির ক্যাম্প করছে বিএসএফ।’’ বিএসএফ গেরুয়া প্যাকেটে জিনিস বিতরণ করছে, এই রকম একটি ছবিও বিধানসভায় দেখান মুখ্যমন্ত্রী। তার পর তা জমা দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
মমতা বিধানসভায় বক্তৃতা করার খানিক ক্ষণ আগেই চোপড়া নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপাল যখন সব জায়গায় যেতে পারেন, তখন তাঁকে চোপড়াতেও যেতে হবে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, রাজ্যপাল চোপড়ায় যাবেন বলে কথা দিয়েছেন।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় সব ক’টি সভা থেকেই বিএসএফের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ করেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম অভিযোগ ছিল, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসফ কার্ড দিচ্ছে। জনগণকে সতর্ক করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘খবরদার ওই কার্ড নেবেন না। তা হলে আপনি এনআরসির মধ্যে পড়ে যাবেন।’’ বালুরঘাটে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘‘গত বার লোকসভা ভোটে বিএসএফ লাইন ম্যানেজ করেছিল। তাই ওরা (বিজেপি) জিতেছিল। এ বার যেন সেটা না হয়।’’ বছর দেড়েক আগে বিএসএফের সীমানাবৃদ্ধি নিয়েও গর্জে উঠেছিলেন মমতা। ফলে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূল তথা তাদের সর্বময় নেত্রীর ক্ষোভ ছিলই। যাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে চোপড়া।