—ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সাবেক কেন্দ্র খড়দহের উপনির্বাচনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল প্রার্থী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। তবে অমিতবাবু অন্য কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা এখনও জোরদার। কারণ অর্থমন্ত্রী থাকতে হলে তাঁকে বিধানসভায় জিতে আসতে হবে।
ভবানীপুর থেকে জিতে শোভনদেববাবু বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এখন শুধু মন্ত্রী। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। কিন্তু মন্ত্রী থাকতে হলে শোভনদেববাবুকেও জিতে আসতে হবে। তাই তাঁর জন্য ভাবা হচ্ছে খড়দহ।
তবে এ সবের ঊর্ধ্বে যেটি আরও বড় প্রশ্ন, তা হল, অমিতবাবু অর্থমন্ত্রী থাকবেন কিনা। কারণ স্বাস্থ্যের কারণে এ বার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়েননি। তাঁর পুরনো কেন্দ্র খড়দহ থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের কাজল সিংহ। কিন্তু ফল বেরনোর পরেই কোভিডে তাঁর মৃত্যু হয়। এখন মন্ত্রী থাকতে হলে অমিতবাবুকেও বিধানসভায় জিতে আসতে হবে।
মমতা চান, অমিতবাবুই অর্থমন্ত্রী থাকুন। সে ক্ষেত্রে যে কেন্দ্রগুলিতে এখন নির্বাচন হওয়ার কথা, তার কোনও একটিতে অমিতবাবুকে প্রার্থী করে জিতিয়ে আনার ভাবনা এখনও তৃণমূল নেত্রীর মাথায় আছে। কিন্তু অমিতবাবু তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার কথা বলেছেন।
সূত্রের খবর, অমিতবাবু ভোটে লড়তে একান্ত ‘অপারগ’ হলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অর্থ দফতরে উপদেষ্টার মতো কোনও পদ দিতে পারেন। মর্যাদায় যা হবে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল। যদি তা হয়, তবে অর্থমন্ত্রী না থেকেও অমিতবাবু ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন পদাধিকারী হিসেবে জিএসটি কাউন্সিল-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুবিধা পেতে পারেন। সেই পরিস্থিতিতে অর্থ দফতর নিজের হাতে রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
অবশ্য এখন পর্যন্ত এই সব সম্ভাবনাই পরিকল্পনার স্তরে। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার মন্তব্য, ‘‘সময় ফুরিয়ে যায়নি। শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা নিয়ে শেষ কথা এখনই বলা যায় না। অমিত মিত্র এখন অর্থমন্ত্রী থাকছেন, এটাই বাস্তব।’’