আমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বন্যা পরিদর্শনের পর আমতা থেকে নবান্নে ফিরছেন মমতা। জানালেন, অতিরিক্ত জল জমার কারণে সফর সম্পূর্ণ করতে পারলেন না। জল কমলেই ফের আসবেন।
ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেতা দেব। বললেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার দায়িত্ব পালন করছে না বলেই মানুষের এই দুর্ভোগ, ওঁরা ভোটের সময় এসে নানা কথা বলেন। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যতদিন না প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে ততদিন এমনটাই চলতে থাকবে।’’
জল জমা অন্যান্য এলাকাগুলিতে প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা গিয়েছেন বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।
৫৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে জানিয়ে দু’ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়়েছে ডিভিসি, জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার ডিভিসির সংস্কার করছে না বলেই এই সমস্যা। পলি জমে নাব্যতা নষ্ট হয়েছে ডিভিসির।
খানাকুলে জল অত্যন্ত বেশি থাকায় যেতে পারছেন না। তবে জল কিছুটা কমলেই সেখানে যাবেন। বুধবার উদয়নারায়ণপুরে যাওয়ার কথাও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু সেখানেও জল বেশি থাকায় আমতাতেই থেমে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
আমতায় মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ডিভিসি খাল সংস্কার করা উচিত। প্রশাসনকে বলব, বন্যার্তদের খাওয়া দাওয়া থাকার যেন কোনও সমস্যা না হয়। ’’
হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা। বললেন, ‘‘নিজেদেরই সাবধানে থাকতে হবে। প্রাণহানি যাতে না হয়, তা দেখতে হবে। মানুষকে সাহায্য করার জন্য বাকি যে সাহায্য দরকার, তা সরকার করবে।’’
বন্যা পরিস্থিতিতে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সড়কপথে হাওড়ার আমতায় পৌঁছলেন মমতা। কথা বলছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘ম্যানমেড’ বন্যার অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য দায়ী। পলি জমে নাব্যতা নষ্ট হয়েছে। রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ছে ডিভিসি। সে জন্যই বন্যা পরিস্থিতি। মোদীকে জানান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের জন্য খানাকুলের ঘোষপাড়ায় অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সকাল থেকেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ থাকায় মমতার কপ্টার উড়তে পারেনি।
আপাতত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে প্রথমে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে উদয়নারায়ণপুরে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরেই উদ্ধার করা হয় তার দেহ। মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, স্নান করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মেয়েটি। জলের স্রোতে ভেসে বাড়ি থেকে কিছু দূরে পুকুরে পড়ে। সাঁতার না জানায় তলিয়ে যায়।
জলমগ্ন খানাকুল ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন দুর্গতদের সঙ্গে।