মণ্ডপের কাজও শেষ হতে কিছু বাকি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিমা এখনও আসেনি। মণ্ডপের কাজও শেষ হতে কিছু বাকি। এর মধ্যে পুরসভা থেকে ফোন: মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের পুজো উদ্বোধন করবেন (ভার্চুয়ালি)। স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের। কেউ বলছেন, “মণ্ডপে রঙের কাজ শেষ হয়নি। প্রতিমা বসার জায়গায় কাপড়ই লাগানো হয়নি।” কারও বক্তব্য, “মণ্ডপের বাঁশ দেখা যাচ্ছে এখনও। প্রতিমা নেই।” তবু কার্যত নিরুপায় পুরসভার আধিকারিক-কর্তারা। পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে তাঁদের অনুরোধ, “একটা কিছু ব্যবস্থা করুন।”
জলপাইগুড়ি পুরসভার কাছে সোমবার সকালে সরকারি নির্দেশ পৌঁছেছে, আজ, মঙ্গলবার শহরের পাঁচটি পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার জলপাইগুড়ি শহরের পাঁচটি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সে আয়োজনও করতে হয়েছিল প্রশাসন-পুরসভাকে। রবিবারের উদ্বোধনের কথা জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। গত বছরের তালিকা দেখে, পাঁচটি পুজো কমিটিকে বেছেছিল প্রশাসন। সে কথা জানানো হলে সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলির মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল। শেষে প্রতিমা ছাড়াই অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধন হয়। একমাত্র বামনপাড়া সর্বজনীনের মণ্ডপে রংহীন প্রতিমা এসেছিল। তা সামনে রেখেই উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার সকালে নির্দেশ পৌঁছয়, আরও পাঁচটি পুজো চাই। তার জেরে পুরসভা আরও পাঁচ পুজোর একটি তালিকা করে ঘোষণা করেছে। এ দিন পুরসভার প্রয়াস হলে বিসর্জনের কার্নিভাল নিয়ে বৈঠক হয়। সে বৈঠকে পাঁচটি পুজো কমিটির নাম পড়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই কমিটিগুলির পুজোর উদ্বোধন কাল হবে।” তার পরে একটু থেমে বলেন, “মণ্ডপের উদ্বোধন হবে।” কমিটিগুলির কাছে তাঁর অনুরোধ, “কাল যাঁদের উদ্বোধন হবে, পারলে আজই মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে আসবেন।”
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, “এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। উপর থেকে যখন, যেমন নির্দেশ এসেছে, তখন তেমন ভাবেই পালন করা হয়েছে।” বিজেপির জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ের কটাক্ষ, “জনসংযোগ করতে এখন প্রতিমাহীন, অর্ধেক তৈরি মণ্ডপেরও উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।” সৈকতের অবশ্য দাবি, ‘‘ক্লাবগুলি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করাতে চাইছে। এর মধ্যে অন্য কিছু খোঁজা বৃথা।’’