ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের সক্রিয়তা শুরু হল অবিজেপি দলগুলির মধ্যে। এ ব্যাপারে রণকৌশল নির্দিষ্ট করতে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তেলঙ্গানা ও তামিলনাড়ুর দুই মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং এম কে স্ট্যালিনের কথা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে এসপি নেতা অখিলেশ যাদবেরও। এর সঙ্গে, আগামী মার্চ মাসে তাঁদের একটি বৈঠকের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। দিল্লি বা দক্ষিণের কোথাও সেই বৈঠকটি হতে পারে। জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে মমতার প্রথম পছন্দ চেন্নাই। তবে অন্যদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই বৈঠকের স্থান স্থির করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের টানাপড়েন চলছে। তা নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই আলোচনাতেই অবিজেপি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক নিয়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই বৈঠক থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরের একটি আকার স্পষ্ট হতে পারে। আলোচনার পরে, মমতার এই আগ্রহের কথা জানিয়ে স্ট্যালিন একটি টুইট করেন। তারপরেই অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কাছে যেমন
গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের ঐক্যবদ্ধ একটি মঞ্চ গঠনের ভাবনা শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে।
সংসদে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অটুট থাকলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মুখে নতুন করে হিসাব শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর কারণ সংসদের দুই কক্ষের সাংসদ ও রাজ্যগুলির বিধানসভার সদস্যরা এই নির্বাচনে ভোট দেন। তাঁদের এই ভোটের মূল্য নির্ধারিত হয় রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে। সেই হিসাব অনুযায়ী, বিজেপির পক্ষে রাষ্ট্রপতি পদে এ বারের লড়াই খুব স্বস্তিদায়ক নাও হতে পারে বলেই ধারণা অনেকের। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে আগের বারের মতো বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে না পারলে বিরোধীদের সক্রিয়তা গুরুতর চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে বিজেপির।