ছবি: পিটিআই।
রেলে নাগরিকত্ব-বিক্ষোভের জেরে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরুর সময়ে মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘ছোট দুটো ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে।’’ ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় রেল-পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘‘রেলের সুরক্ষা দেওয়া আমার পুলিশের কাজ নয়। তোমার পুলিশ যদি ব্যর্থ হয়, আমি কী করব! তাও তো সাহায্য করেছি। ট্রেনে আগুন লাগানোর জন্য ছ’-সাতশো লোককে গ্রেফতার করেছি। আমি কেন্দ্রকে অনুরোধ করব ট্রেন চালু করতে।’’
কেন্দ্রীয় সরকার ট্রেন কেন বন্ধ রেখেছে, সে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘রেল জানিয়েছে, পুরো ক্ষতির হিসেব করতে ১৫দিন সময় লাগবে। ৭০টি বাস পুড়েছে।’’ কিন্তু তার সঙ্গে ট্রেন না চালানোর কী সম্পর্ক, তা অবশ্য দিলীপবাবুর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: মোদীকে পুস্তিকা দিয়ে অশান্তির নালিশ বিজেপির
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম অবশ্য ট্রেনে ভাঙচুরের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য— দু’পক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে যা ঘটেছে, রেল এবং কেন্দ্র তার দায় অস্বীকার করতে পারে না। ট্রেনে যখন ভাঙচুর হচ্ছিল, তখন আরপিএফকে কেন দেখা যায়নি? আর রাজ্য সরকারও নিষ্ক্রিয় ছিল।’’