assembly

ধর্মান্তরণ, চা নিয়ে তর্ক তুঙ্গে বিধানসভায়

‘‘মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু একটাও অধিগ্রহণ করেননি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০২
Share:

মনোজ টিগ্গাকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চা বাগান এবং ধর্মান্তরণের প্রসঙ্গ টেনে মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বিধানসভায় শুক্রবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর নিজের জবাবি বক্তৃতায় মমতা বলেন, ‘‘এখানে বিজেপির এক জন নেতা আছেন। সম্ভবত মনোজ টিগ্গা। তাঁকে বলছি, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে পাঁচটা চা বাগান বন্ধ ছিল। এখনকার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভোটের আগে এসে বলেছিলেন, পাঁচটা বাগান অধিগ্রহণ করা হবে। মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু একটাও অধিগ্রহণ করেননি। চারটের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছি।’’ এর পরেই মমতা জানান, তাঁরা চা বাগানের শ্রমিকদের যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। যেমন— চা শ্রমিকদের ৩৫ কেজি করে চাল এবং বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। এর পর চা সুন্দরী প্রকল্পে চা বাগান থেকে জমি নিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য আবাসনও তৈরি করা হবে।

মনোজবাবু অবশ্য পরে বলেন, ‘‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী চা বাগানে মাসে ২০ কেজি আটা এবং ১৫ কেজি চাল ২ টাকা দরে দেওয়া হয়। এটা দেয় কেন্দ্র। আর কোনও চা বাগানে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয় না।’’ চা বাগানের অধিগ্রহণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে মনোজের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্র অধিগ্রহণের চেষ্টা করেছিল। বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ডানকানকে উস্কানি দিয়ে হাইকোর্টে পাঠিয়েছে। তাই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আটকে পড়েছে।’’ পাশাপাশি, বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে চা আর সুন্দর নেই। চা বাগান কর্মী থেকে শুরু করে গোটা শিল্পটার অবস্থাই শোচনীয়। রাজ্য সরকার চা বাগানের উন্নতিতে কিছুই করেনি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণাও যে ভাঁওতা ছাড়া আর কিছু নয়, তা চা শ্রমিকরাও বোঝেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement