কেন্দ্রের নির্দেশের প্রতিবাদে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ওই চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত। অথচ কেন্দ্র কোনও আলোচনা ছাড়াই একতরফা ভাবে তা রাজ্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। মমতার এই চিঠি ঘিরে ফের কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতর শুরু হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনলাইন ক্লাস, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার ও ট্রেনিংয়ের উপর কিছু বিধিনিষেধ জারি করে। ওই সময় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় জড়িত। কারণ এইসব আলোচনা সভায় দেশের বাইরের লোকও অংশগ্রহণ করেন। ফলে অনেক সময় তা দেশ ও দেশের বাইরে বিতর্কের সৃষ্টি করে। তাই কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই কেন্দ্র এই পদক্ষেপ করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এই পদক্ষেপ করার আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। কেন্দ্রের অসাংবিধানিক এই পদক্ষেপ প্রত্যাহার করতে হবে।’’
একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠিতে মমতা জানান, প্রত্যন্ত গ্রাম ও ছোট শহরে ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য ডিজিটাল মাধ্যম অত্যন্ত জরুরি। এতে বিধিনিষেধ জারি হলে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তির অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হবেন পড়ুয়ারা। ব্যহত হবে জ্ঞানের আদানপ্রদান। বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু এই পদক্ষেপ শিক্ষাকে কেন্দ্রীভূত করার প্রয়াস। এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। ওই চিঠিতে মমতা রাজ্যের সমস্ত মানুষকে করোনার টিকা দিতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি চেয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে সেই চিঠির জবাব এখনও আসেনি। সেই চিঠির ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী।