ঝড় যে আসবেই সে কথা অবশ্য মৌসম ভবন এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
আমপান, ইয়াসের মতো ঝড় সামলেছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতেও তাঁর সরকার প্রস্তুত। নবান্নে সোমবারই ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই তিনি সাংবাদিক বৈঠকে আশ্বাস দেন, ‘‘ভয় বা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। যে ভাবে আগের সাইক্লোন সামলেছি সেভাবেই সামলে নেবো।’’
ঝড় যে আসবেই সে কথা অবশ্য মৌসম ভবন এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করলে মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেই গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে বঙ্গোপসাগর বরাবর উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোলে তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও হতে পারে। মমতাও নবান্ন থেকে রাজ্যবাসীকে সে কথাই জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ঝড়ের প্রভাব কোথায় কবে পড়তে পারে অনুমান করে কী কী আগাম পরিকল্পনা করে রেখেছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এখনও যা পূর্বাভাস রয়েছে, তা মানলে বাংলার সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৯ মে এবং ১০ মে একটু ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। ১০ মে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। যদি সে রকম পরিস্থিতি হয়, তবে ১০ এবং ১১ মে দিঘা এবং সুন্দরবনের মতো এলাকায় আমরা উদ্ধারকাজের প্রস্তুতি রেখেছ। সেখানে যদি কোনও সমস্যা হয় আমরা দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে দেব। তার পর সম্ভবত এই ঝড় বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমারে চলে যাবে।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ঝড়ের জন্য নবান্নে তো বটেই জেলায় জেলায় কন্ট্রোলরুমও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছে ‘‘২৫ লক্ষ ত্রিপল এবং ৭১ লক্ষ রিলিফ ক্লোথজ’’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মমতা।