সনিয়া গাঁধীর ডাকা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ উপস্থিত বিরোধী দলের নেতারা। নিজস্ব চিত্র
বাড়ির কেউ আয়কর দেন না এমন পরিবারকে মাসে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দিক কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সব বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকে এমন দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই দাবি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনের বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা তৃণমূল সূত্রে তা জানা যায়নি।
শুক্রবার মোট ১৯ দলের প্রতিনিধিত্বে হয় ওই ভার্চুয়াল বৈঠক। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ডাকে ওই বৈঠকে মমতা ছাড়াও ছিলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে ও তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিনও ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও বৈঠকে সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিত্ব ছিল না।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই বিরোধী জোটের প্রস্তুতিই ছিলি শুক্রবারের বৈঠকের মূল সুর। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেখানে সব দল যাতে নিজস্ব বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে উঠে একজোট হয় তার ডাক দিয়েছেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি এমনটাও বলেন যে, জোটের নেতা কে হবেন সেটা না ভেবে যৌথভাবে পথ চলাই হোক লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, বৈঠকে হাজির সকলেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অপব্যবহার করছে বলে দলের পক্ষে সওয়াল করেন মমতা। একই সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে এক জোট হয়ে আন্দোলনের প্রয়োজনিয়তার কথাও বলেন। এর মধ্যে সব গরিব পরিবারের জন্য আয় সুনিশ্চিত করা ছাড়াও সকলের জন্য করোনা টিকা, কৃষি আইন বাতিল, পেট্রোপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মতো দাবিও তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে যৌথ দাবিতে ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত পেগাসাস নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে আন্দোলনের কথাও বলেছেন মমতা।