মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর একটি সফর। আর তাতে একটু-একটু করে বদলাতে শুরু ছবিটা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রাম পূর্ব বর্ধমানের আলিশা গ্রামে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে গিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ হাঁস, মুরগি ও ছাগল বিলি করলেন। আর সে সব পেয়ে ছবি রুইদাস, মিনতি রুইদাসদের প্রশ্ন, ‘‘কর্তারা তো আগে আসেননি?’’
বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে আলিশার দাসপাড়ায় গৃহস্থের বাড়ির দাওয়ায় বসে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীর অভাব, অভিযোগ শোনেন। সেখানেই রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপনবাবুকে নির্দেশ দেন, গ্রামের মহিলাদের মধ্যে ছাগল বিলি করার। মঙ্গলবার সকালে গ্রামে গিয়ে স্বপনবাবু তেরোটি পরিবারকে একটি করে ছাগল ও পাঁচটি করে হাঁস-মুরগির ছানা বিলি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই সেন, সবিতা রুইদাসেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এলাকায় বাড়ি, পর্যাপ্ত পানীয় জল না পাওয়ার মতো বিষয় নিয়ে জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীকে নির্দেশ দেন, ‘বাংলা আবাস যোজনা’র ‘কোটা’ থেকে বাড়ি করতে হবে। মঙ্গলবার গুড়াপের বৈঠক থেকে মমতা আরও বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি, ‘সজল ধারা’ প্রকল্পে গ্রামবাসী জল পান না। পঞ্চায়েতের বাড়ি-বাড়ি জল পৌঁছে দিতে পরিকাঠামো নেই। এ বার থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরই প্রকল্প রূপায়ণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।’’
মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এক দিনের মধ্যে যতটা সম্ভব ব্যবস্থা হয়েছে। আরও পরিষেবা পৌঁছবে।’’ তাঁর দাবি, বাড়ি তৈরির বিষয়টি দেখছেন স্বয়ং জেলাশাসক। জেলাশাসকের দাবি, ‘‘গ্রামের বিষয়গুলি আমাদের নজর ছিল।’’ গ্রামবাসী অবশ্য বলছেন, ‘‘ভাগ্যিস, গ্রামে এসেছিলেন দিদি!’’