TMC

ভাল ‘ম’ আর মন্দ ‘ম’-এর মধ্যে বেছে নিন, বলছে তৃণমূল

গত ছ’বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে কৃষিকর্মণ পুরস্কার দিয়েছে বলে শনিবার দাবি করেন চন্দ্রিমা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এর পরেও কী ভাবে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যের কৃষকদের প্রতি অনুন্নয়ের কথা বলছেন।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:১৩
Share:

গত ছ’বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে কৃষিকর্মণ পুরস্কার দিয়েছে বলে শনিবার দাবি করেন চন্দ্রিমা। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য সফরে এসে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃষক ইস্যুতে বিঁধেছেন। শনিবার বর্ধমান থেকে নড্ডা যখন মমতাকে আক্রমণ করছেন, সেই সময় কলকাতার তৃণমূল ভবন থেকে কৃষক সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করল তৃণমূল। লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হল, ‘এক ‘ম’ কৃষকদের কথা ভাবেন না, আর এক ‘ম’ কৃষকদের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন’। নাম না করে নরেন্দ্র মোদী এবং মমতার কথাই এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরে সাংবাদিক বৈঠকেও একই কথা বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।

Advertisement

গত ছ’বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে কৃষিকর্মণ পুরস্কার দিয়েছে বলে শনিবার দাবি করেন চন্দ্রিমা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এর পরেও কী ভাবে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যের কৃষকদের প্রতি অনুন্নয়ের কথা বলছেন।’’ পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, ২০১১ সালে বাংলায় কৃষকদের আয় ছিল ৯০ হাজার। কিন্তু গত ১০ বছরে সেই আয় পৌঁছে গিয়েছে, ২ লাখ ৯০ হাজারে। চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের রাজ্যের কৃষকদের আয় তিন গুণ হয়েছে। আর যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার চলছে, তাদের লক্ষ্য ২০২৮ সালের আগে তা পূর্ণ হতে পারে না। তাই কৃষকদের উন্নয়নে কে আন্তরিক এটাতেই স্পষ্ট।’’

তৃণমূলের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কৃষকদের ফসলের বিমার প্রিমিয়াম দিতে হয়। বাংলার কৃষকদের কোনও অর্থ দিতে হয় না। রাজ্য সরকারই তাঁদের প্রিমিয়াম দিয়ে দেয়। বাংলার ৯২ শতাংশ (৫৫ লক্ষ) কৃষক কিসান ক্রেডিট কার্ড পেয়েছেন। বাংলায় কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে একর পিছু পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তুলনা টেনে বলা হয়েছে, পিএম কিসান প্রকল্পে সেই অর্থের পরিমাণ ১,২১৪ টাকা মাত্র। এ ছাড়াও ১৮-৬০ বছর পর্যন্ত বয়সে কৃষকদের মৃত্যু হলে ৫ লক্ষ আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় পরিবারকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এমন কোনও আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়নি।

Advertisement

অন্য দিকে, আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতায় জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ওই দিন সকাল ১১টায় বেহালা থেকে একটি বাইক র‌্যালি আসবে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত। ওই দিনই বেলা ১টায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: মোদীর নেতাজি কমিটিতে সৌরভ, মমতা-বুদ্ধদেব, মিঠুন-কাজল​

আরও পড়ুন: আব্বাস সিদ্দিকিকে জবাব দিতে দুই কৌশলে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement