Bangladesh Protest

‘আমাকে শেখাবেন না’! তাঁর বাংলাদেশ-মন্তব্যে মোদী সরকারের আপত্তি খারিজ করলেন মমতা

শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি গিয়েছেন মমতা। তার আগে শুক্রবার দিল্লির বঙ্গভবনে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৫
Share:

(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ হাসিনা। — ফাইল ছবি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে ‘বিতর্ক’ থামছেই না। ঢাকার আপত্তির পরে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও এ নিয়ে মুখ খোলে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাব দিলেন মমতা। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘বিদেশনীতি সম্পর্কে আমি অনেকের চেয়ে ভাল জানি।’’

Advertisement

শুক্রবার দিল্লিতে গিয়েছেন মমতা। শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন তিনি। তার আগে শুক্রবার দিল্লির বঙ্গভবনে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মমতা। দিল্লিতে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভাল জানি। আমি সাত বারের সাংসদ, দু’বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। বিদেশনীতি অন্য কারও চেয়ে ভাল জানি। তাঁদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং তাঁদের পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে শেখা উচিত।’’

২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু মমতার এই মন্তব্য নিয়ে সুর চড়ায় বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষয়ে মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই।

Advertisement

মমতার মন্তব্যে আপত্তি জানায় ঢাকাও। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ‘আপত্তিবার্তা’র কথা স্বীকার করেছেন। অন্য দিকে, মমতাকেও কার্যত সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনও দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ করার অধিকার কোনও রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার দেয়নি রাজ্যকে। এ নিয়ে বলার এক্তিয়ার শুধু ভারত সরকারেরই আছে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা বিদেশ মন্ত্রককে আক্রমণ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement