(বাঁ দিকে) হেমন্ত সোরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বুধবার রাতে ইস্তফা দেওয়ার অব্যবহিত পরেই হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ‘বন্ধু’র গ্রেফতারি নিয়ে শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে পূর্ব ঘোষিত ধর্না শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা।
এক্স পোস্টে মমতা লিখেছেন, ‘‘শক্তিশালী আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপির কথায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটি নির্বচিত সরকারকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে। এটা প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র।’’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘‘হেমন্ত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই কঠিন সময়ে আমি তাঁর পাশে দাঁড়ানোর শপথ করছি। ঝাড়খণ্ডের মানুষ এর জবাব দেবে এবং হেমন্ত কঠিন যুদ্ধে জয়ী হবেন।’’
হেমন্তকে গ্রেফতারের সময়ে মমতা ছিলেন জেলা সফরে। বৃহস্পতিবার অবিজেপি নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে মমতা সরব হন। তবে হেমন্তের নাম করেননি। শান্তিপুরের সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘তোমরা ভোটের আগে মাঠ ফাঁকা করবে বলে সবাইকে গ্রেফতার করছ। মনে রেখো, আমাকে জেলে পুরলেও আামি জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসব!’’
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ রেড রোডের ধর্নাস্থলে পৌঁছন মমতা। তার পর অম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে মঞ্চে ওঠেন। ওই মঞ্চের ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা মানছি না, মানব না।’ প্রতিবাদের রং হিসেবে কালোকে বেছে নিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, জুন মালিয়া, মৌসম বেনজির নুরেরা পরেছেন কালো শাড়ি। অন্য দিকে, অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমারদের পরনে রয়েছে কালো পাঞ্জাবি। মমতার গায়েও জড়ানো কালো শাল। এর আগে বিধানসভা এবং লোকসভায় কালো পোশাকে তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদদের প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল।
ধর্না মঞ্চের পিছনেই দু’টি অস্থায়ী তাঁবু করা হয়েছে। একটিতে মমতা সাংগঠনিক কাজ করবেন, অন্যটিতে প্রশাসনিক কাজ। দুপুর দেড়টার পরে মমতা ধর্নামঞ্চ থেকে ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমি কয়েক দিন ছিলাম না। অনেক ফাইল জমে রয়েছে। আমি মাঝে মাঝে পিছনে গিয়ে ফাইলে সই করে আসব। আর আমার কিছু সাংগঠনিক কাজও রয়েছে।’’ তৃণমূলনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি যে সময়ে থাকবেন না, সেই সময়ে ধর্না পরিচালনা করবেন শশী, চন্দ্রিমারা।