মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
জেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কিসান ক্রেডিট কার্ডের আবেদন পড়ে রয়েছে জেনে মুখ্যমন্ত্রী বাকি কাজের দায়িত্বে জুড়ে দিলেন জেলা সমবায় ব্যাঙ্ককে। কিন্তু সে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে দলীয় বিধায়ককে সরিয়ে আনলেন জেলাশাসককে। পাশাপাশি, জেলায় একাধিক কিসান মান্ডি চালু করা যাচ্ছে না শুনে বাতলে দিলেন সমস্যা সমাধানের পথ। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষিদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা মেনেছেন, তা বলছে বিরোধী কৃষক সংগঠনও।
বৈঠকে পুরুলিয়ার জেলাশাসক (ডিএম) অলকেশপ্রসাদ রায় মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তিন লক্ষ উনিশ হাজার ‘যোগ্য’ চাষির মধ্যে দু’লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার জনকে কিসান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি আবেদন পড়ে রয়েছে ব্যাঙ্কে। জেলার লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজারও মেনে নেন, বেশ কিছু কার্ডের আবেদন তাঁদের কাছে রয়েছে। মমতা নির্দেশ দেন, ক্রেডিট কার্ডের যে কাজ বাকি
তা লিড ব্যাঙ্কের সঙ্গে সমবায় ব্যাঙ্কও করবে। পুরুলিয়া জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে না তুমি পারবে এটা। অন্য কাউকে দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করতে হবে।’’ এর পরেই ডিএম-কে সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দেন তিনি।
এর পর ডিএম জানান, সাতটি মান্ডি আংশিক কাজ করছে। তবে কয়েকটি মান্ডি এমন জায়গায় তৈরি হয়েছে যে চাষিরা যেতে চাইছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যখন জায়গা বাছাই হয়, তখন ভাবা হয়নি?’’ চালু না হওয়া মান্ডিগুলিকে হিমঘর, চাল প্রক্রিয়াকরণের মতো কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পুরুলিয়ায় মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস পার্ক তৈরির প্রসঙ্গও ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, হুড়ায় পঁচিশ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাব দ্রুত পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘যদি বলতে বৈঠকের আগে পাঠিয়েছি, খুশি হতাম।’’
বামপন্থী সংগঠন ‘কৃষকসভা’র পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক কাশীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে অভিযোগ নিয়ে স্মারকলিপি দিই, সেটাই আজ প্রশাসন মানল।’’