তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেডিএস-এর এইচ ডি কুমারস্বামী। ফাইল চিত্র।
সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এবং বিজেডির নবীন পট্টনায়কের পরে এ বার জেডিএস-এর এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গত সাত দিনে বিরোধী নেতাদের এই তিন বৈঠকের পরেও দেশে বিজেপি-বিরোধী শিবির নিয়ে কোনও তরফেই স্পষ্ট কোনও বক্তব্য সামনে এল না।
কলকাতায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ। সেই বৈঠকে তাঁদের নিজেদের বোঝাপড়ার কথাই সামনে এসেছিল। তার পরই মমতার সঙ্গে দেখা হয় নবীনের। গত বৃহস্পতিবার ওডিশা সফররত মমতা গিয়েছিলেন নবীনের বাড়িতে। সেখানেও বিরোধী জোট বা সামগ্রিক রাজনীতি নিয়ে যে নির্দিষ্ট কোনও কথা হয়নি, তা আড়াল করেননি কেউ-ই।
মমতা ও কুমারস্বামীর বৈঠকে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিল রাহুল গান্ধীর সা়ংসদ পদ খোয়ানোর ঘটনা। সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে দুই নেতার বৈঠকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। এ দিন কলকাতায় এসে মমতার বাড়িতে যান কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা কুমারস্বামী। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ওই বৈঠকে বিজেপি-বিরোধী দুই দলের নেতারা কী আলোচনা করেছেন, তা স্পষ্ট করেননি কেউ-ই। সূত্রের খবর, অখিলেশ ও নবীনের মতো কুমারস্বামীর সঙ্গে আলোচনায়ও রাজ্য সরকারগুলির স্বাধীনতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে মমতার। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির প্রতি কেন্দ্রের শাসক-দলের বৈরী মনোভাব নিয়েও বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছেন দুই দলের নেতারা।