নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বুধবার দেখা করে কথা বললেন জিটিএ-র সম্ভাব্য চেয়ারম্যান অনীত থাপা। আমন্ত্রণ জানালেন ১২ জুলাই জিটিএ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। নিজস্ব চিত্র
রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, বন্ধ এবং দীর্ঘদিন নির্বাচিত প্রশাসন না থাকায় পাহাড়ে উন্নয়ন তো বটেই, প্রশাসনিক কাজও বিভিন্ন ক্ষেত্রে গতি হারিয়েছে। সেই সব কাজ যাতে ফের চালু করা যায়, বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই অনুরোধই জানালেন অনীত থাপা। একই সঙ্গে তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেন ১২ জুলাই দার্জিলিঙে জিটিএ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্যও। নবান্ন সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রী শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন। সূত্রের আরও খবর, ১৫ তারিখ জিটিএ চেয়ারম্যান বা সিইও-কে শপথ নেওয়ানোর কথা রাজ্যপালের।
জিটিএ ভোটে এ বারে অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ২৭টি আসন জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে। এর মধ্যে কালিম্পঙের তিন জন জয়ী নির্দল প্রার্থী অনীতের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা জানিয়েছেন। তৃণমূল জিতেছে পাঁচটি আসন। সেই দলে বিনয় তামাংও আছেন। তাঁরা প্রয়োজনে অনীতদের বাইরে থেকে সমর্থন দিতে পারেন বলে এ দিন জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অনীত এ দিন দুপুরে নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পরে অনীত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের বিষয়গুলি সবই জানেন। নতুন করে তাঁকে বিশেষ কিছু বলার নেই। পাহাড়কে এখন সঠিক পথে এগিয় নিয়ে যেতে হবে। গত পাঁচ বছরে অনেক প্রশাসনিক কাজই থমকে রয়েছে। সেগুলিকে সচল করলেই পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ তরাণ্বিত হবে।’’
কী সেই সব কাজ? সূত্রের খবর, বৈঠকে অনীত জানিয়েছেন, পাহাড়ে কর্মনিয়োগ কেন্দ্র, আঞ্চলিক স্কুল-কলেজ সার্ভিস কমিশন, সরকারি কর্মীদের স্থায়ী করা, দফতর হস্তান্তরের মতো বিষয়গুলি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব শোনার পর সরকার সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ করবে বলে অনীতকে জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে অনীত বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষ প্রথমে আমাদের বিশ্বাসঘাতক বলেছে। রাজ্যের সঙ্গে মিলে থাকলেই যে উন্নয়ন হবে, সে কথা তারা বুঝতে চায়নি। পাঁচ বছর সময় লেগেছে বোঝাতে। শেষে তাদের বোঝাতে পেরেছি দার্জিলিং বাংলার মধ্যেই।’’
অনীতের কথায়, ‘‘এ বারে ভোটে মানুষ আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। আর সেটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।’’
এ দিনের বৈঠকের পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়ে দেন, জিটিএ-তে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাই বোর্ড গঠন করবে। তৃণমূল বাইরে থেকে সব সময় সহযোগিতা, সমর্থন জানিয়ে যাবে।