মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
যে কোনও জেলায় যে কোনও দিনই সফর করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘তৈরি থাকুন, নিয়ে রাখুন প্রাথমিক প্রস্তুতি’—মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন বিপি গোপালিকা। বুধবার সেই নির্দেশিকা জেলাগুলিতে পৌঁছে গেল। নবান্ন সূত্রের খবর, সোমবার, কার্যভার নেওয়ার পরে রাজ্যের বিভিন্ন আধিকারিক এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন বিপি গোপালিকা। তাঁর সতর্কবার্তা ছিল, রাজ্যের যে কোনও জেলায় যে কোনও সময়েই পা রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসকদের প্রতি এ বার তাঁর নির্দেশিকা, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রাথমিক পরিকাঠামো (প্রাইমারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার) যেন প্রতিটি জেলাতেই থাকে।
নবান্নের খবর, হাসপাতাল থেকে হেলিপ্যাড, পুলিশি ব্যবস্থা থেকে প্রাথমিক পরিচ্ছন্নতা, মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে তড়িঘড়ি যে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন, তা যেন আগাম নেওয়া থাকে, এমনই বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যসচিব। দক্ষিণবঙ্গের এক জেলাশাসকের কথায়, ‘‘আসলে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলা প্রশাসনকে সজাগ থাকার কথাই ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন মুখ্যসচিব।’’
বছরের শুরুতেই কয়েকটি কর্মসূচি বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার তাঁর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে যাওয়ার কথা থাকলেও সফরসূচি পিছিয়ে হয়েছে ৮ জানুয়ারি।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘বিভিন্ন জেলায় ‘উন্নয়নের’ কাজে গয়ংগচ্ছ মনোভাব ছেড়ে জেলা প্রশাসনগুলি যাতে অসম্পূর্ণ কাজে গতি আনে সে জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর তদারকির কথা বলে সতর্ক করা হয়েছে।’’
জেলায়গুলিতে ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের কাজও শেষ হয়নি। সে সব কজে গতি আনার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে একই কারণে।