চা বানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
চারিদিকে ভিড় গিজগিজ করছে। তার মধ্যেই পাশ কাটিয়ে চায়ের দোকানে ঢুকে গেলেন তিনি। হাতা নিয়ে নিলেন দোকানদারের কাছ থেকে। ফুটন্ত চা নাড়তে লাগলেন তা দিয়ে। বুধবার দিঘায় এ ভাবেই আমজনতার সামনে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জনসংযোগ বাড়াতে এই মুহূর্তে দিঘায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই এ দিন সকালে দত্তপুরের বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের অভাব-অভিযোগ শোনেন। তত ক্ষণে তাঁকে ঘিরে জটলা তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই জটলা নিয়েই একটি চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছন মমতা। দোকানদারকে সকলের জন্য চা তৈরি করতে বলেন।
তার মধ্যেই ভিড়ের মধ্য থেকে একটি শিশুকে কোলে তুলে নেন মমতা। তার হাতে একটি কেক তুলে নেন। কিন্তু তখনও চা তৈরি না হওয়ায় নিজেই দোকানের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। দোকানদারের হাত থেকে হাতা নিয়ে নেন। ফুটন্ত চা নাড়তে শুরু করেন। চায়ে দুধ কেন কম, তা-ও জানতে চান দোকানদারের কাছে। তার পর টেনে নেন পাশে রাখা বড় অ্যালুমিনিয়ামের মগ। ছাঁকনি দিয়ে চা ছাঁকতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নাটকীয় মোড় জাগুয়ার-কাণ্ডে, আরসালান নন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর দাদা! দাবি পুলিশের
ছাঁকনিতে জমে থাকা চা পাতা ফেলে দেওয়ায় অভিভাবকের মতো দোকানদারকে ধমকও লাগান। মমতা বলেন, ‘‘ফেললে কেন? ওই পাতা দিয়েই তো আর এক বার হয়ে যেত?’’
আরও পড়ুন: লকআপে কেঁদে ভাসাচ্ছে ভাই আরসালান! কেন দাদাকে বাঁচানোর চেষ্টা, উঠছে বহু প্রশ্ন
মমতাকে চা বানাতে দেখে তত ক্ষণে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে ভিড়ের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীকে চা বানাতে দেখে অবাক হন অনেকে। কিন্তু মমতা সাফ জানিয়ে দেন, আর পাঁচ জনের মতোই বড় হয়েছেন তিনি। ছোটবেলাতেও বাড়ির কাজে হাত লাগাতেন। ঘরকন্না ভালই পারেন তিনি।