দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আর সেই খবরে তিনি যে উদ্বিগ্ন, ফের তা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার ছিল শিলদায় মাওবাদী হানার অষ্টম বর্ষপূর্তি। এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে এসে বেলপাহাড়ির হাইস্কুল মাঠের সভামঞ্চ থেকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘ওরা নির্বাচনের সময় জঙ্গলমহলে উঁকি ঝুঁকি মারে। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। সে জন্য কেউ কেউ বলবে, এটা করো না, ওটা করো না। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-কে ভোট দিতে বলবে। ওদের কথা শুনবেন না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি চাই পরিষেবা দিতে। পঞ্চায়েতগুলো না থাকলে কাজ করব কী ভাবে। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী, যুবশ্রী দেব কী করে!’’
একটা সময় ঝাড়গ্রাম-পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে মাওবাদী মোকাবিলার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তাঁর উদ্যোগে বহু মাওবাদী নেতা-নেত্রী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এখন পাশা পাল্টেছে। ভারতী আর পুলিশের চাকরিতেই নেই। নানা মামলায় নাম জড়ানো থেকে সিআইডি অভিযান, ভারতীর সঙ্গে সরকারের কার্যত ‘দ্বৈরথ’ চলছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে দু’দিন আগেই মূলস্রোতে ফেরা প্রাক্তন মাওবাদীদের নবান্নে ডেকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতীর নাম না করেই বলেছেন, ‘‘যারা এখন আর পুলিশ নেই, তাদের কথা শোনার দরকার নেই।’’ এ দিনও মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, ‘‘কারও কথা শুনে সরকারকে ভুল বুঝবেন না।’’