রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। — নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের সেই যাত্রাই শুরু হল সিঙ্গুর থেকে। সিঙ্গুরে গিয়ে সিঙ্গুর-২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রতনপুর নেতাজি সঙ্ঘ থেকে আথালিয়া নবোদয় সঙ্ঘ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতে ইট-সিমেন্টের গাঁথনি দিয়ে ওই ভিত্তিপ্রস্থরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি ভার্চুয়ালি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।
পশ্চিমবঙ্গের ২২টি জেলায় ১২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি নতুন গ্ৰামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং পুরনো রাস্তা সংস্কারের কাজ বাস্তবায়িত হবে মুখ্যমন্ত্রীর পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে। নবান্নের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ২৯,৮৭৫টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য একাধিক গ্রামের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেন সিঙ্গুরকেই। সেই সিঙ্গুর, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর শুরু করা জমি আন্দোলন তৎকালীন বাম শাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল।
এর আগে শেষ বার গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে বাজেমেলিয়া গ্রামের একটি মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এর প্রায় এক বছর পর পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের হাত ধরে সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রী।