Mamata Banerjee-CV Ananda Bose

রাজ্যপাল বোসের মামলায় হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৭
Share:

(বাঁ দিকে) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ওই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদালত সূত্রে খবর, শুনানির দিনক্ষণ ও মামলা কোন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয় রাজ্যপালের তরফে। মঙ্গলবার বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের মানহানি হয় এমন কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। যদি এই পর্যায়ে অন্তর্বর্তিকালীন আদেশ মঞ্জুর-না করা হয় তবে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা স্বীকার করতেই হবে যে মামলাকারী সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের এক জন। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’’ আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘বাদী পক্ষ একটি প্রাথমিক মামলা করেছেন এবং এই পর্যায়ে একটি অন্তর্বর্তী আদেশ মঞ্জুর করা-না হলে সেটা বিবাদী পক্ষকে মানহানিকর বিবৃতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার শামিল হবে। তাতে দুই পক্ষেরই সুনামের উপর প্রভাব পড়তে পারে।’’

সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছিলেন, ওই নির্দেশের বিরোধিতায় তাঁরা উচ্চতর আদালতে যাবেন। সেই মতোই শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সঞ্জয়ের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর যে যে বক্তব্যকে মানহানিকর বলে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে আদালত কিছু বলেনি।’’ পাশাপাশিই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে এক জন মহিলা এবং জনপ্রতিনিধি। তিনি যদি মহিলাদের যন্ত্রণার কথা জানেন, তা হলে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর কর্তব্য। এ ছাড়াও বাগ্স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের প্রসঙ্গও উল্লিখিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর বিবৃতিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement