ফাইল চিত্র।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্য ১০৪ একর জমি হস্তান্তর করা নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি সাংসদ তথা বিমানবন্দর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান রাজু বিস্তা। তবে একই সঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘জমির অভাবে এত দিন বিমানবন্দরকে বড় করা যাচ্ছিল না। তার পরেও রাজ্য সরকার টাকা ছাড়া জমি পাওয়া যাবে না বলে বসে ছিল। নিয়ম ভেঙে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকা রাজ্যকে দেওয়ার কথা বললে তার পরেই চা বাগানের জমি জোগাড় করা হয়। রাজ্য উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য ভাবলে নিজেরাই ওই টাকা দিয়ে আরও আগেই জমির ব্যবস্থা করতে পারত।’’
বিমানবন্দর নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘দুই দফায় রাজ্যই জমির ব্যবস্থা করল। আগের দফায় তা করার জন্যই নাইট ল্যান্ডিং চালু হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আগের বার তো জমির টাকার কথা বলা হয়নি। এবার সরকারের হাতে জমি না থাকায় তা কেনার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল। বিজেপির কাজের থেকে রাজনীতিটা সব সময়ই বেশি।’’ সাংসদ এ দিন জানান, প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। আপাতত জমির নথিপত্রের কাজ শেষ হলে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের একটি বিষয় রয়েছে। তার পরে কাজ শুরু করতে ৬-৯ মাস সময় লাগবে। দু’বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ১ লক্ষ বর্গমিটারের টার্মিনাল হবে। ১০টি এরোব্রিজ থেকে ১৬টি বিমান একসঙ্গে পার্কিং করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হবে। বছরে দেড় কোটি যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
চলতি সপ্তাহেই উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে বিমানবন্দর অধিকর্তার হাতে ১০৪ একর জমি হস্তান্তরের কাগজ তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, উত্তরবঙ্গ, সিকিম, নেপাল, ভুটান দিয়ে ঘেরা এই বিমানবন্দর আগামী দিনে উত্তর পূ্র্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর হবে। শহরবাসীর অনেকে বলছেন, বিমানবন্দরকে নিয়েও শুরু হল রাজনীতি। বিধানসভার আগে রাজ্য জমি দিয়ে কৃতিত্ব দাবি করছে। তেমনি, এবার ২০২৪ সালের লোকসভার আগেই তা তৈরির কথা বলে প্রচারে নেমে পড়ল বিজেপি।