মুখ্যমন্ত্রী আচমকা এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকে দেওয়ার পর সব দফতরেই এখন তুমুল তৎপরতা। ফাইল চিত্র।
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের সব দফতরের কাজ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ২৬ এপ্রিল নবান্ন সভাগৃহে ওই বৈঠক হবে। বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের সব পূর্ণমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে। থাকবেন সচিব এবং যুগ্ম সচিবরাও। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের মোবাইল ফোনে বৈঠকে হাজির থাকার বার্তা চলে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
বৈঠকের আগে দফতর সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য ইমেল মারফত মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সময়সীমা দেওয়া হয়েছে আগামী ১৯ এপ্রিল। কোন কোন তথ্য পাঠাতে হবে, লিখিত বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তার তালিকাও। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দফতরের জন্য কত অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তার কতটা উন্নয়নের কাজের জন্য ছাড়া হয়েছে, কোন কোন প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা সবিস্তার জানাতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত প্রকল্প শেষ হয়ে গিয়েছে তার ‘ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট’ জমা দিতে বলা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হয়েও শেষ করা যায়নি, এমন প্রকল্পের কথাও জানাতে বলা হয়েছে। প্রকল্পটি কী কারণে শেষ করা যায়নি তা-ও জানাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে। এই রিপোর্ট পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দফতরের প্রধান সচিবদের। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে রিপোর্ট পাঠানোর দায়িত্ব দফতরের প্রধান সচিবের হলেও, বৈঠকে প্রকল্প সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হতে পারে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে।
মুখ্যমন্ত্রী আচমকা এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকে দেওয়ার পর সব দফতরেই এখন তুমুল তৎপরতা। সব দফতরের রিপোর্ট জমা পড়ার পর তা এক সপ্তাহ ধরে পর্যালোচনা করবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, এমনটাই সূত্রের খবর। তার পর ২৬ এপ্রিলের বৈঠকে মন্ত্রী ও আমলাদের থেকে তাঁদের ব্যাখ্যা শুনবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী মে মাসের যে কোনও সময়ে হতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামীণ জনতার ভোট নেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী সব দফতরের হালহকিকত জেনেবুঝে নিতে চান। কোন দফতর ভাল কাজ করেছে, কোন দফতর আশানুরূপ কাজ করতে পারেনি, সব খতিয়ান পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুঝে নিতে চান মমতা। কোথাও কোনও খামতি থাকলে, তা দ্রুত কী ভাবে মেরামত করা সম্ভব, সেই বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।