মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজ্য জুড়ে করোনার টিকার টানাটানি চলছেই। তার কারণ হিসেবে কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত টিকা না-আসার কথাই বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান, অন্য রাজ্যকে তিন-সাড়ে তিন কোটি ডোজ় টিকা দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গকে দু’কোটি টিকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার ১০০ শতাংশই রাজ্য ব্যবহার করেছে।
মমতা এ দিন জানান, রাজ্যের মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দিতে ৬৯ কোটি টাকা দিয়ে টিকা কিনেছেন তাঁরা। আরও ৭৫ কোটি টাকার টিকা কিনতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও ২১ জুন থেকে কেন্দ্র সব রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকার জোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। অন্য দিকে রাজ্যের অনেক ছেলেমেয়েরই পড়াশোনা, চাকরি-সহ বিভিন্ন কারণে বিদেশযাত্রার প্রয়োজন রয়েছে। কোভ্যাক্সিন এখনও বিদেশে ছাড়পত্র পায়নি। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রের তরফে ওই টিকার অনুমোদন দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বলেও বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও এ দিন তুলে ধরেন মমতা। তিনি জানান, এখন সংক্রমণের হার ২.৯০ শতাংশ। সেটা আরও কমবে। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় রাজ্য এখন থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬২ জন। মৃতের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৭। সব সময়েই আক্রান্তের তালিকার সামনের সারিতে থাকা কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়াতেও সংক্রমণের হার নেমেছে ১০০-র নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় ৯২, কলকাতায় ৫৯, হাওড়ায় ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা দশের নীচে রয়েছে তিন জেলায়— মালদহে ছয়, বীরভূমে নয়, পুরুলিয়ায় তিন।