মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।। ছবি পিটিআই।
বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য থেকে শুরু করে বাঙালির সংস্কৃতি— সব কিছু ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ’-এর হাতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র জমি সংক্রান্ত বিতর্ক প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আরও এক বার বঙ্গ অস্মিতা তুলে ধরে বলেন, “আমাকে আঘাত করতে করতে এ বার বাংলার মনীষীদেরও আঘাত করতে শুরু করেছে। সেটা সহ্য করব না।’’
কেন্দ্রের শাসক দলকে লক্ষ্য করে মমতার মন্তব্য, ‘‘আজকে যারা আছে, তারা স্থায়ী নয়। তাদের দিন গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে গিয়েছি, সহজ-সরল ঘরের মেয়ে। তাকে গালাগালি দেয় কারণ, সে প্রতিবাদ করে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমিই জিতব।”
মমতার অভিযোগ, অমর্ত্য সেন বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেন বলে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রতি ‘অবমাননার’ প্রসঙ্গ টেনে তাঁর হুঁশিয়ারি, “বাংলা ছাড়া পৃথিবী চলে না। তাই যাঁরা অপমান করেছেন, তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না-চাইলে আবেদন করব, সকলে মিলে প্রতিবাদ করুন।’’
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের পরে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্ক
আরও পড়ুন: পাল্টা কৃষক জমায়েতে আজ বক্তৃতা মোদীর
বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের ‘জট’ রয়েছে। সম্প্রতি একটি মহল থেকে দাবি করা হয়, অমর্ত্যবাবুর বাড়ির জমির কিছুটা অংশ বিশ্বভারতীর এক্তিয়ারভুক্ত। এ দিন মমতা বলেন, “আপনারা কি বিশ্বাস করেন, অমর্ত্য সেনের এমন কোনও দিনও আসবে, যে তাঁকে শান্তিনিকেতনে জমি দখল করতে হবে! অমর্ত্য সেন আদর্শগত ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বলে তাঁর বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বলে যাবে, এটা বাংলার মানুষ সহ্য করবে না। আমি বাংলার হয়ে ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা করবেন অমর্ত্যদা, আপনাদের মতো মানুষকেও এরা সম্মান দিতে জানেন না। আমি দুঃখিত।”
পাশাপাশি, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান নিয়ে ‘ভুল’ দাবি, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বলেন, “গোটা বিশ্ব এই মনীষীদের নিয়ে গর্ব করে। আর আমাদের দুর্ভাগ্য, কুকথা, অকথ্য, অসত্য, অর্ধসত্য বলছে এরা।’’
এ দিকে, বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মমতার না-থাকাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা টুইটে লিখেছেন, ‘‘শুধু রাজনৈতিক বিদ্বেষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে শামিল।