Mamata Banerjee

বর্ষায় ক্ষতি হতে পারে চাষের, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস মমতার

আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে হবে বলেও এ দিন নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ১৭:৪৯
Share:

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

এক আমফানে রক্ষে ছিল না, তার উপর মহামারি এবং সর্বোপরি ভারী বর্ষণ, এ সবের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষিকাজের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কৃষকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তাই দেখতে হবে, কৃষক বন্ধু প্রকল্প থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

এ দিন নবান্নের সভাঘরে আয়োজিত পাঁচ জেলার সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। দেখতে হবে, আর ক্ষতি যেন না হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জল জমেছে কৃষিজমিতে। তাতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। এমন অবস্থায় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্য করতে হবে। চাষের জমি থেকে জমা জল কী ভাবে বার করা যায়, করতে হবে তার ব্যবস্থাও।’’

অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের তুলনায় খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমফানের প্রভাবে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাঁদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে হবে বলেও এ দিন নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘গত ২৩ মার্চ বাংলায় প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে। করোনার প্রকোপে আগের চেয়ে প্রচুর খরচ বেড়েছে। সেই তুলনায় কমেছে আয়। তবে ভিন্ রাজ্য থেকে কোনও করোনা রোগী এলেও সেটাকেও রাজ্যের হিসেবে ঢুকিয়ে দিতে হবে। দেখতে হবে, তিনি যেন সব রকম চিকিৎসা পান। এখনও পর্যন্ত যাঁরা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ পাননি, আগামী সাত দিনের মধ্যে তা মিটিয়ে দিতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ পেয়েছেন কিনা, সে ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে অবিলম্বে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ফোনে কৈলাস, বাড়িতে মেনন, জোড়া-কথা সেরে শোভন শিবির বলল ‘ভাল আলোচনা’​

আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষ হলে তুরস্কে কেন? এ বার সঙ্ঘের রোষে আমির খান​

সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে এ দিন আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের তিনি জেলায় জেলায় সফরে বেরোবেন বলে জানান। সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যের বকেয়া প্রকল্পও শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। তবে টাকা মিলছে না বলে কাজ বন্ধ রাখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement