দিঘার সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর। —নিজস্ব চিত্র।
ইয়াস-এর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দিঘা পুনর্গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সৈকত শহর ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা রওনা দেওয়ার পর এমনটাই জানালেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুরের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন মমতা। সাজিয়ে তোলা হয়েছিল সৈকত শহর। কিন্তু ইয়াস-এর কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে দেই দিঘাই এখন যেন প্রেতপুরী। শুক্রবার হিঞ্জলগঞ্জ, সাগর, কলাইকুণ্ডা হয়ে দিঘা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। ‘সাজানো বাগান’-এর এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখে হতবাক মুখ্যমন্ত্রী। বিস্তীর্ণ কংক্রিটের সমুদ্রতটের পরিস্থিতি, বাগান এবং দোকানঘরগুলির কঙ্কালসার চেহারা দেখে নিজের উৎকণ্ঠা চেপে রাখতে পারেননি তিনি। তবে দিঘাকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তিনি যে বদ্ধপরিকর তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে। অখিল বলেন, ‘‘দিঘাকে নতুন চেহারায় ফিরিয়ে আনতে মুখ্যমন্ত্রী তৎপর। এই এলাকায় যে ভাবে বছরভর পর্যটকরা ছুটে আসেন তাতে দিঘার এই হতশ্রী চেহারা কিছুতেই দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করবে।
কপ্টারে কলকাতায় রওনা মুখ্যমন্ত্রীর
অখিল আরও বলেন, ‘‘বন্যার তোড়ে দিঘার পাশাপাশি গোটা জেলার যে ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের পাশাপাশি কৃষি এবং মৎস্যচাষে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কতটা পূরণ করা যায় সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী ভাবনাচিন্তা করছেন।’’ অখিলের মতে, ‘‘শুক্রবার দিঘায় আসার পর সমুদ্রসৈকতের ক্ষয়ক্ষতি নিজেই ঘুরে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার তিনি কপ্টারে চেপে কলকাতা ফেরার পথে কাঁথি, খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, এই সব এলাকাগুলিও পরিদর্শন করেন।’’