সিএবি-এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে এ বার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিঘায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আগামী রবি ও সোমবার ‘নো এনআরসি’ আন্দোলনের কর্মসূচির কথা জানিয়ে মমতা আবারও জানিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি হবে না। কাউকে কেউ তাড়াতে পারবে না। ওই আন্দোলনে তিনি নিজেও অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। তার পরের দিনই দিঘায় সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, রবিবার ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য জুড়ে ব্লকে ব্লকে ‘নো এনআরসি’ আন্দোলন হবে। সব জেলায় মিছিল করবেন দলের কর্মীরা। তার পরের দিন অর্থাৎ ১৬ তারিখ কলকাতায় বি আর অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করবে তৃণমূল। সেখান থেকে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল হবে। তার পর সেই মিছিল যাবে জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর বাড়ি পর্যন্ত। তাতে নেতৃত্ব দেবেন মমতা নিজে।
তৃণমূল নেত্রী মমতা এ দিন বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ করুন। আমি নিজেও সেই সব আন্দোলনে যোগ দেব। গায়ের জোরে সিএবি পাশ করেছে। কিন্তু বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। প্রত্যেক রাজ্যের আলাদা আবেগ আছে, আলাদ বিষয় আছে।’’ রাজ্যে এনআরসি করতে দেবেন না বলে ফের এ দিন মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি বাংলার পাপ, দেশের অভিশাপ। অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প করছে রাজ্য সরকার। সেখানে তাদের দলের সরকার ছিল বলে করতে পেরেছে। এখানে হতে দেব না।’’
এনআরসি হলে দেশ থেকে তাড়ানো হবে বলে আশঙ্কা ছড়িয়েছে নানা মহলে। মমতা তাঁদের আশ্বস্ত করে এ দিন বলেন, ‘‘বিতাড়িত হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আপনারা যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন। কেউ তাড়াতে পারবে না। এ সব নিয়ে কেউ ভয় পাবেন না।’’ বিজেপির পক্ষ থেকে এই সব ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে বলেও এ দিন মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।