ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ফাইল চিত্র
কেন্দ্রের অংশীদারিত্বে চলা প্রকল্পগুলির কী অবস্থা তা খতিয়ে দেখতে অতীতে নানা সময়ে কেন্দ্রীয় দল এসেছে রাজ্যে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের তেমনই একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যে এসে কাজকর্ম খতিয়ে দেখার কাজ করছেন। অতীতের মতো এ বারেও কেন্দ্রীয় দলের গতিবিধি ‘বিতর্ক’ মুক্ত থাকল না। বুধবার নবান্নে কার্যত কটাক্ষের সুরে কেন্দ্রের উদ্দেশে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার বক্তব্য, “যারা কিছু পারে না, তারা শুধু দেশটাকে বিক্রি করে দেয়। সেই টাকা রিজার্ভ ভাণ্ডারে রেখে শুধু ইলেকশন করবে, আর ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা দেশটাকে বিক্রি করে দেবে। কী দেখছে? আমরা কাজটা করছি কিনা? ওদের জানা উচিত বাংলা হচ্ছে এক নম্বের। ক্ষমতা থাকলে করে দেখাক। অনেক রয়েছে। সব কিছু আমি বলতে যাব না। আগে দেশ বাঁচাতে বলুন। তার পরে বাংলায় সফর করতে বলুন। ডেলি প্যাসেঞ্জারির মতো তো বাংলা ভিজিট করে দেখে নিয়েছে রেজাল্টটা কি..”
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ীই আবাস যোজনায় সব রাজ্যের থেকে এগিয়ে আছে বাংলা। তা ছাড়া একশো দিনের কাজ, এমএসএমই, কারিগরি প্রশিক্ষণ-সহ অনেক ক্ষেত্রে এক নম্বরে রয়েছে রাজ্য। মমতার চ্যালেঞ্জ, “কেন্দ্রীয় সরকার দু’একটা লোক পাঠাবে না জানিয়ে। যে কোনও জায়গায় আসতে পারে যেতে পারে, তাতে কি এসে গেল!” সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জেলায় গিয়ে গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতের নানান কাজ খতিয়ে দেখার কথা কেন্দ্রীয় ওই প্রতিনিধিদলের। চিরাচরিত পদ্ধতি অনুযায়ী অনেক রাজ্যে গিয়ে লোকসভার সংসদীয় প্রতিনিধিদল নানান কাজ দেখে। সেই ধরনের সফরকে এ দিন রীতি বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মমতা।