মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
লক্ষ্য জনসংযোগ। জনতার আরও কাছে পৌঁছতে এ বার হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বুধবার সকালে হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলে প্রথম হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল খুললেন মমতা-অভিষেক। সম্প্রতি নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। যে কেউ খুলতে পারবেন এই চ্যানেল। ক’দিন আগেই হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই চ্যানেলে মোদীর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই আবহে এ বার হোয়াট্সঅ্যাপ নয়া ফিচারে নিজেকে মেলে ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।
আত্মপ্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল। এটি একটি একমুখী ব্রডকাস্টিং চ্যানেল। চ্যানেলটি যিনি তৈরি করবেন, তিনি সহজেই ছবি, ভিডিয়ো, বিভিন্ন বার্তা পাঠাতে পারবেন। চ্যানেলটি ফলো করলেই ওই আপডেটসগুলি সহজেই দেখা যাবে। ডিজিটাল দুনিয়ায় হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন খ্যাতনামীরা হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল খুলেছেন। তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ, অক্ষয় কুমার। চ্যানেল খুলছেন রাজনীতিকেরাও।
জনসংযোগে বরাবরই জোর দেন রাজনীতিকরা। ব্যতিক্রম নন তৃণমূলনেত্রী মমতাও। মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি যার মধ্যে অন্যতম। এত দিন, ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল (টুইটার), ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ধরনের আপডেট দিতেন মমতা-অভিষেকরা। বিশেষত, মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক এবং টুইটার পেজ খুবই সক্রিয়। এ বার থেকে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলকেও ব্যবহার করবেন তিনি।
হোয়াটসঅ্যাপ আপডেটস অপশনে ক্লিক করলেই চ্যানেল দেখা যাবে। আপডেটসের নীচে ফাইন্ড চ্যানেল অপশনে দেখা যাবে বিভিন্ন চ্যানেল। সেখানে যদি কোনও চ্যানেল খুঁজে না পান, তা হলে সার্চ অপশনে গিয়ে খুঁজতে হবে। শুধু খ্যাতনামীরাই নন, বিভিন্ন সংস্থাও তথ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসাবে হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল বেছে নিয়েছে।