(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা নির্বাচনে আবারও বাংলায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ‘বহিরাগত’ ইস্যু। বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে বার বার ‘বহিরাগত’, ‘পরিযায়ী’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিটি জনসভা থেকেই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডাদেরকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করছেন। বুধবার সেই একই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বললেন, ‘‘বাংলা এবং বিজেপির মানসিকতা একেবারেই আলাদা।’’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তাঁর জনসভা এবং জনসংযোগের কিছু টুকরো টুকরো অংশ পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টেই তিনি লেখেন, ‘‘বাংলা এবং বিজেপির মানসিকতায় কোনও মিল নেই। আমাদের থেকে বিজেপির মানসিকতা আলাদা।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘আমরা যখন আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখি, কিন্তু দিল্লির পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় মিথ্যা ছড়ানো ছাড়া কিছুই করে না। এই নির্বাচনে ওদের ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।” এর পরই তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাই পথ দেখাবে দেশকে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা ভোটপ্রচারে বার বার মোদী, শাহদেরকে আক্রমণ শানাতে ‘বহিরাগত’ শব্দের ব্যবহার করতেন। বাংলার সংস্কৃতি বোঝে না বিজেপি। মোদী, শাহেরা বাংলায় থাকেন না, তাই তাঁদের কাছে এ রাজ্য সব সময়ই অপরিচিত। ভোট মিটলে আর তাঁদের বাংলায় দেখতে পাওয়া যাবে না বলেও কটাক্ষ করতেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার সুরেই শাসক দলের একাধিক নেতানেত্রীরা বিজেপিকে আক্রমণ করতে ‘বহিরাগত’ শব্দের ব্যবহার করতেন। এ বারও একই ধারা বজায় রেখেছে তারা। ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভা থেকে ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’ দেওয়ার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। এমনকি, দার্জিলিঙে ভোটপ্রচারের গিয়ে সেই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করেছেন। উল্লেখ্য, রাজুকে এ রাজ্যের প্রার্থী করলেও তিনি দার্জিলিঙের ভোটার নন। তিনি দিল্লির ভোটার। পাল্টা তৃণমূলের দুই প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এবং কীর্তি আজাদকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করছে বিজেপিও।