তৃণমূলের রাজনীতিতে বরাবরই ওঠানামা চলে সব্যসাচী দত্ত আর সুজিত বসুর। দলীয় সমীকরণে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিতের পাল্লা যে এখন ঈষৎ ভারী, ইঙ্গিত দিলেন স্বয়ং দলনেত্রীই। সিন্ডিকেট-রাজ হোক বা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ— সব্যসাচীর বিধাননগর পুরসভা যে ঠিকমতো কাজ করছে না, ইদানীং একাধিক বার তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সুজিতের প্রসঙ্গে সেই মমতাই বললেন, ‘‘ওকে কোনও দায়িত্ব দিলে ও কিন্তু ঠিক সেটা করে দেয়!’’ সুজিতের উদ্যোগে বিগ বেনের আদলে তৈরি ঘড়িরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
শুধু তা-ই নয়। সুজিতের শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজোমণ্ডপ উদ্বোধন করতেও যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ বার ২০০০ সালে শ্রীভূমিতে যান তৃণমূল নেত্রী। তখন সুজিত নির্দল। প্রায় দেড় দশক পরে এ বার মহালয়ার আগের দিন, ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রীভূমিতে আবার যাবেন মমতা। বিধানসভায় সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে সুজিত তাঁর পুজোর উদ্বোধনে যাওয়ার অনুরোধ করায় রাজি হন মমতা। বিধাননগর পুর-এলাকায় মেয়র সব্যসাচীর সঙ্গে বিধায়ক সুজিতের বিরোধ বারবারই দলীয় নেতৃত্বকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। গত বছর বিধাননগর পুরভোটের দিন ব্যাপক গোলমালের পরে স্থানীয় বিধায়ক সুজিতের উপরে ক্ষুব্ধ হন মমতা। কিন্তু পাশা উল্টেছে এখন। তাই সুজিতের প্রশংসা এবং তাঁর পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর যেতে রাজি হওয়া তৃণমূলের অন্দরে পরিবর্তিত সমীকরণের ফল বলেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে শাসক দলে।