প্রতীকী ছবি
শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। পরদিন, অর্থাৎ রবিবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ করে পরিবার। তদন্তের সূত্রে মালদহের ওই গ্রামীণ এলাকারই এক যুবককে আটক করে পুলিশ। তার সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি। তার পরে এ দিন মেয়েটির পরিবারের পুরনো বাড়ি থেকে রক্তের ফোঁটার সূত্র ধরে তার কাছে একটি পুকুর থেকে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটির বাবার অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। পুলিশ জানিয়েছে, কী ঘটেছিল তা জানতে দেহটির ময়নাতদন্ত হচ্ছে এবং যুবকটিকেও জেরা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, হতে পারে, সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেও মেয়েটিকে খুন করেছে প্রতিবেশী যুবকটি। মেয়েটির ব্যাগ থেকে একটি চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। চিঠিটি কার লেখা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, মেয়েটি গ্রামেরই একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার রাত থেকে সে নিখোঁজ। তাই সর্বত্র খোঁজ চালাচ্ছিলেন তাঁরাও। এ দিন সকালে মেয়েটির বাড়ির পাশে তাদেরই পুরনো বাড়িতে যান পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, বাড়িটি এক আত্মীয়ের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এখন সেটি ফাঁকা পড়েছিল। সেই বাড়িতেই রক্তের ছিঁটে পড়ে থাকতে দেখা যায় এ দিন। ঘরের মেঝেতে ভারী কিছু টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্নও ছিল। তাই দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। ঘটনাস্থল থেকে মহিলাদের কিছু পোশাকও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের নির্দেশে বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে সকাল থেকে তল্লাশি চালানো হয়। ফের দুপুরে পুকুরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এর পরেই বস্তাবন্দি দেহটি উদ্ধার হয়।
পুলিশ কর্তাদের দাবি, বস্তার ভিতরে দেহের সঙ্গে ইট ভরে দেওয়া হয়, যাতে তা ভেসে না ওঠে। অভিযুক্ত যুবককে জেরা করেই পুকুর থেকে মেয়েটির দেহ মিলেছে, জানিয়েছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, পরিকল্পনা করে খুনের আগে মেয়েটিকে ধর্ষণও করা হয়েছে। মৃতার বাবা বলেন, “মেয়েকে সেই রাতে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে ওই যুবক। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।”
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।