পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু বামেদের।
উৎসবের মরসুমে বাইরে রাজনৈতিক কর্মসূচি তেমন কিছু থাকবে না। সেই সময়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির জন্য ঘর গুছিয়ে নেওয়ার বার্তা জারি হল সিপিএমে। বুথ কমিটি তৈরি করে ফেলার পাশাপাশিই সম্ভাবনার বিচারে পঞ্চায়েতের আসন তিন ভাগে সাজিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ভাবে পঞ্চায়েতের কোথায় কোথায় দলের সম্ভাবনা ভাল, তেমন আসনগুলিকে রাখতে হবে একটি শ্রেণিতে। পরবর্তী দুই ধাপে থাকবে তুল্যমূল্য লড়াই দেওয়ার আসন এবং তুলনায় পিছিয়ে থাকা আসন। অগ্রাধিকার ঠিক করে নিয়েই সেই এলাকা ধরে ঝাঁপাতে হবে। সিপিএম সূত্রের খবর, দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকের শেয দিনে জবাবি ভাষণে বৃহস্পতিবার এমন বার্তাই দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক। পাশাপাশিই বুথ কমিটি গড়ার কাজ এবং সংগঠনে ‘ঘাটতির জায়গা’ পুজোর মরসুমের মধ্যেই চিহ্নিত করে মেরামতির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকের শেয দিনে সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ‘বৃহত্তর সংগ্রামে’র অংশ হিসেবেই পঞ্চায়েত ভোটকে ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েতের পরিস্থিতির উপরে দলীয় স্তরে সমীক্ষাও চালাচ্ছে সিপিএম।
রাজ্য কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে একাধিক সদস্য দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, প্রচার এবং গণ-সংগ্রহে গেলে মানুষ এখন এগিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক কালে তার ফলে গণ-সংগ্রহ ভাল হচ্ছে। পরে আলিমুদ্দিনে রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘‘ট্যাক্সিতে ‘নো-রিফিউজ়াল’ লেখা থাকলেও তারা অনেক সময় প্রত্যাখ্যান করে! কিন্তু মানুষ এখন আমাদের গণ-সংগ্রহে প্রত্যাখ্যান করছেন না। আরও বেশি মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছতে হবে।’’ দলের যে নেতা-কর্মীরা সাম্প্রতিক অতীতে বসে গিয়েছিলেন, ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁদের কাছে পৌঁছতে বিশেষ উদ্যোগের কথাও এ দিন বৈঠকের অভ্যন্তরে বলেছেন সেলিম। দলীয় সূত্রের খবর, ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচির জন্য হেল্পলাইন নম্বর শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে সিপিএমের তরফে। পঞ্চায়েত স্তর থেকে দুর্নীতি বা অন্য অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য স্থানীয় মানুষ জানাতে পারবেন সেই নম্বরে যোগাযোগ করে। ‘পাহারায় পাবলিক’ কর্মসূচিতে একই ভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছিল আলিমুদ্দিন।