প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তার অবধারিত অনুষঙ্গ হিসেবে বাড়ছে নিত্যনতুন অপরাধের সুলুকসন্ধান। যেমন সব বয়সের মানুষই এখন সাইবার অপরাধের শিকার। শিশু, কিশোরদেরও ছাড় দিচ্ছে না সাইবার অপরাধীরা। বিশেষত করোনাকালে অনলাইনে পঠনপাঠনের জেরে এই ঝুঁকি খুব বেড়ে গিয়েছে। ইন্টারনেটের সীমাহীন দুনিয়া খুলে গিয়েছে শিশু, কিশোরদের সামনে। এই পরিস্থিতিতে নেট-দুনিয়ায় সঞ্চরণের সময় কী করা উচিত আর কী নয়, সেটা জেনে নেওয়াও তাদের পক্ষে জরুরি হয়ে পড়েছে। ধুরন্ধর সাইবার অপরাধীদের থাবা থেকে শিশু-কিশোরদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট)।
এই উদ্যোগে শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েছেন ম্যাকাউটের পড়ুয়ারাই। অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের সাইবার নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ দেবেন তাঁরা। স্কুল ও কলেজ স্তরের পড়ুয়াদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে এমনই পন্থা বেছেছে ম্যাকাউট। চলতি মাসেই শুরু হতে চলেছে এই প্রশিক্ষণ।
ম্যাকাউটের উপাচার্য সৈকত মৈত্র বুধবার জানান, বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টির সঙ্গে প্রত্যেকেই কমবেশি যুক্ত। তাই একেবারে স্কুল স্তর থেকেই এই বিষয়ে সচেতনতা দরকার। তাই ঠিক হয়েছে, স্কুলপড়ুয়াদের সচেতন করা হবে। এই কাজ করানো হবে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের দিয়েই। এর ফলে স্কুলপড়ুয়াদের সঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কও নিবিড় হবে। উপাচার্য বলেন, ‘‘স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই তাদের দাদা-দিদির তুল্য কলেজপড়ুয়াদের কাছে প্রশ্ন করতে পারবে। সাইবার অপরাধের বিষয়ে জানতে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হবে বলেও মনে করি।’’
উপাচার্যের বক্তব্য, এই অবস্থায় উপকৃত হবে দু’পক্ষই। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যখন প্রশিক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন, তখন তাঁদের মধ্যেও বাড়তি উৎসাহের সৃষ্টি হবে। এর ফলে তাঁরা আরও বেশি করে নিজেদের দক্ষতার উন্নতি সাধন করতে পারবেন। সব মিলিয়ে দুই স্তরের পড়ুয়ারাই লাভবান হবে।
সচেতনতার এই উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার সায়েন্স, ফরেন্সিক সায়েন্স-সহ বিভিন্ন বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের শামিল করা হচ্ছে। ম্যাকাউটের ‘স্কুল কানেক্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা হবে। রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের এই উদ্যোগে শামিল করার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।