ফাইল চিত্র।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর ১৩৫ দিন আগে মুক্তি পেল ২০১২ সালের পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম আসামি নাসির খান। সে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাদের খানের দাদা।
এডিজি (কারা) পীযূষ পাণ্ডে বলেন, ‘‘কারা আইনের নিয়ম অনুযায়ী নাসিরকে আগাম ছাড়া হয়েছে। বেশিরভাগ সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এই সুযোগ পায়। তবে সংশোধনাগারের মধ্যে বন্দিরা খারাপ আচরণ করলে আইনের এই সুবিধা পাবে না। যেমন দমদম সংশোধনাগারে যে সমস্ত আসামি তাণ্ডব চালিয়েছিল, তাদের পূর্ণ মেয়াদ কারাবাস হবে।’’ আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভারতীয় আইন অনুযায়ী রবিবার এবং সরকারি (জাতীয়) ছুটি মিলিয়ে এক জন অপরাধীর বছরে ৫২ দিন সাজার দিন কমানো যায়। এটা তার অধিকারের মধ্যে পড়ে।’’
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের আর এক আসামি সুমিত বজাজ রাজ্য সংশোধনাগার আইনের ৫৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী গত জুনে ছাড়া পেয়েছে। কারা দফতর সূত্রে খবর, এই নিয়মে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আর এক দণ্ডপ্রাপ্ত রুমান খানের মুক্তি হওয়ার কথা।
গত শনিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়ে কলকাতার বাড়িতে রয়েছে নাসির। তার দাদা হায়দার খানের কথায়, ‘‘সোমবার থেকে আমাদের পারিবারিক ব্যবসা দেখতে অফিসে রোজই যাচ্ছে ভাই। তবে ওকে আমরা কেউ একা ছাড়ছি না। ওর বন্ধুরা নিয়মিত বাড়িতে আসছে।’’
কারা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘যে সব আসামি লেখাপড়া জানে না, তাদের নাসির সাহায্য করেছে। ফলে আগাম মুক্তি পেতে সমস্যা হয়নি।’’