ভোটযন্ত্র খুলতেই তৃণমূলের উল্লাস কুপার্সে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
বিরোধীশূন্য হয়ে গেল কুপার্স পুরসভা। ১২টি আসনের সবকটিই জিতে নিল তৃণমূল। এই প্রথম বার কুপার্স পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের জয় হয়েছে। পাঁচ বছর আগের নির্বাচনে নদিয়ার এই ছোট্ট পুর এলাকায় বিপুল জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনেও রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস কুপার্স থেকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী আবির বিশ্বাসকে পিছনে ফেলে। কিন্তু পুর নির্বাচনে আর সে সবের ছাপ দেখা গেল না। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপিকে নিঃশেষে মুছে দিয়ে কুপার্সের দখল নিল তৃণমূল।
কুপার্স থেকে সুপ্রকাশ মণ্ডলের প্রতিবেদন:
কুপার্সের পুরবোর্ড তৃণমূল এই প্রথম দখল করল তা কিন্তু নয়। গত পুরভোটে ১টি আসন ছাড়া বাকি সবকটিতে কংগ্রেস জিতলেও কিছু দিনের মধ্যেই দল বদল করেছিলেন কাউন্সিলররা, কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সেই থেকেই বোর্ড তৃণমূলের হাতে ছিল। তবে কুপার্সের জনসমর্থন যে তৃণমূলের দিকে চলে যায়নি, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেই তার প্রমাণ মিলেছিল।
আরও পড়ুন: সর্বত্র তৃণমূলের জয়, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি, ধূলিসাৎ বাম-কংগ্রেস
কিছু দিন আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত কুপার্স। মূলত শঙ্করের দাপটেই বছরের পর বছর কুপার্স দখলে রেখেছিল কংগ্রেস। গত পুর নির্বাচনে কুপার্স দখলে আনতে মরিয়া তৃণমূল তৎকালীন সর্বভাতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নেতৃত্বে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। কিন্তু শঙ্কর সিংহ দল বদলে তৃণমূলে ভিড়তেই ঘুরে গিয়েছে কুপার্সের জনমত। সব আসনেই এ বার জিতল তৃণমূল। ভোটের দিনে অবশ্য কুপার্সের অনেক বুথ থেকেই অশান্তির খবর এসেছিল। শান্তিতে ভোট হলে কুপার্সে এই ফল হত না বলে বিরোধী দলগুলির দাবি।