—প্রতীকী ছবি।
পাঁচ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করতে মাদ্রাসা কমিশনকে এক বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সময়সীমা ছিল ১৫ দিন।
অভিযোগ, সেই নির্দেশ পালন করেনি কমিশন। আদালত অবমাননার মামলায় সোমবার নির্দেশ পালনের জন্য সময় চাইতে এসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে তিরস্কৃত হলেন মাদ্রাসা স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ গোলাম আলি আনসারি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সোমবার রাত ১২টার মধ্যে নির্দেশ পালন করতে হবে কমিশনকে। আজ, মঙ্গলবার নির্দেশ পালনের রিপোর্ট কোর্টে পেশ করতে হবে তাদের।
আখমল হোসেন-সহ পাঁচ চাকরিপ্রার্থী মাদ্রাসা স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য, জয়দীপ বসু ও তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল, নিয়োগে বিএড প্রশিক্ষিতেরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু তাঁদের অগ্রাধিকার না দিয়ে অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। ২০২২-এর ১৪ জুন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মামলাকারীদের নিয়োগের সুপারিশপত্র দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রশিক্ষিতদের চাকরি দিতে হবে। ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছিলেন তিনি। সেই নির্দেশ মানেননি কমিশন।
এ দিন আদালতে হাজির হয়ে আনসারি সময় চাইলে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এক বছর ধরে কী করছিলেন? এখন সময় চাইছেন?’’ কমিশন জানায়, তারা নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছে। তবে সেই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছু শুনব না। আজ রাত ১২টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।’’