ফাইল চিত্র।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও টেস্ট পরীক্ষা হবে না। দশম শ্রেণির সব পরীক্ষার্থীই সরাসরি মাধ্যমিকে বসতে পারবে। কিন্তু স্কুল চাইলে নিজেদের উদ্যোগে মক টেস্ট নিতে পারে। স্কুল খোলার সরকারি ছাড়পত্র মিললে সেখানেই নেওয়া যাবে সেই পরীক্ষা। না-হলে অনলাইনেও মক টেস্ট নেওয়া যেতে পারে। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তির এই অংশটি ঘিরেই শিক্ষক ও আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। তাঁদের প্রশ্ন, প্রশ্নের কাঠামো না জানলে কী ভাবে হবে মক টেস্ট?
শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের একাংশ জানান, গত ২৫ নভেম্বর সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে প্রায় ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও কেউ জানে না, কোন প্রশ্ন কাঠামো অনুযায়ী এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই প্রশ্ন কাঠামো না জানলে মাধ্যমিকের মক টেস্টই বা কী ভাবে নেবেন শিক্ষকেরা?
এখন মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রের কাঠামো আগে থেকে উল্লেখ করা থাকে। কোনও একটি বিষয়ের কোন অধ্যায় থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আসবে, অর্থাৎ কোন অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন আসবে আর কোন অধ্যায় থেকে ছোট প্রশ্ন আসবে, সেই কাঠামো আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষকদের মতে, এ বার করোনার কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হওয়ায় প্রশ্ন কাঠামোও বদলাবে। সেই প্রশ্ন কাঠামো এখনও পর্যন্ত না জানানোয় পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারছে না।
এ বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপসচিব (শিক্ষা) পার্থ কর্মকার বলেন, ‘‘প্রশ্ন কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। দ্রুতই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
শিক্ষকদের মতে, অতিমারির কারণে পড়ুয়াদের স্বাভাবিক ক্লাস হয়নি। অন্য দিকে, টেস্ট পরীক্ষাও হবে না। টেস্ট পেপার প্রকাশিত হওয়ারও কোনও সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে যত দেরি করে প্রশ্ন কাঠামো পরীক্ষার্থীরা জানবে, পরীক্ষার প্রস্তুতি ততই বিলম্বিত হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বললেন, ‘‘এক দিকে মক টেস্ট নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। অথচ, প্রশ্ন কাঠামোই জানানো হল না। এটা এক ধরনের দ্বিচারিতা। আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে আমরা দ্রুত প্রশ্ন কাঠামো প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’’